ভাষা গৌরব সপ্তাহ জীবন্ত মহাপুরুষ ও আদর্শ নারীদের দর্শন করলো ছাত্র ছাত্রীরা

করিমগঞ্জ, পিএনসি, ৮ নভেম্বর : মাতৃভাষা গৌরব সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়ে নজির তৈরি করল করিমগঞ্জের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরস্বতী বিদ্যা নিকেতন । আজ বিদ্যালয়ের নতুন প্রজন্মের কচিকাঁচা ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ভারতের বাঙালি মনীষীদের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের শিশু বাটিকার প্রধান পুলোমা পুরকায়াস্থ বলেন ভারত সরকার বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এ উপলক্ষে রাজ্য সরকারের নির্দেশে “ভাষা গৌরব” সপ্তাহ উদযাপন করার নির্দেশ পাওয়ার পর নানা কার্যসূচির মধ্য শুক্রবার ছিলো শিশুদের মধ্যে মহাপুরুষ খুঁজে নেওয়া এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাদেরকে পরিচিতি করিয়ে দেওয়া।
এদিন বিভিন্ন মহাপুরুষদের ভূমিকায় থাকা শিশুদের মধ্যে কমলা ভট্টাচার্য : প্রিয়ব্রতা চক্রবর্তী, আশাপূর্ণা দেবী : বিথীকা নাথ, কামিনী রায় : সোনাক্ষী দাস, সারদা দেবী : ঋত্বিকা চক্রবর্তী রানী রাসমণি : পূর্বা দেব, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (প্রতীক পুরকায়স্থ) জীবনানন্দ দাশ : রম্য দীপ বণিক, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : শ্নোক দাস, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : হর্স দীপ্ দে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : ঈশান দে, রাজা রামমোহন রায় : ঋতুরাজ গোস্বামী, স্বামী বিবেকানন্দ : সৌভিক আদিত্য ।
এদিকে বিদ্যানিকেতনের প্রধান আচার্য অঞ্জন গোস্বামী বলেন সরকারি ঘোষণার পর থেকে আমরা গোটা সপ্তাহ উদযাপন করে আসছি নানা কার্যসূচির মাধ্যমে । ভাষা গৌরব সপ্তাহ উদযাপন প্রসঙ্গে অঞ্জন গোস্বামী বলেন ভাষা সুরক্ষিত হলে শিল্প সংস্কৃতি সুরক্ষিত হবে। তাই আগে মাতৃ ভাষা কে সম্মানের পাশাপাশি ব্যাপক হারে চর্চা করতে হবে। এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন কেন্দ্র সরকার বাংলা ও অসমীয়া ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের “ভাষা গৌরব সপ্তাহ ” উপলক্ষে আয়োজনের উদ্দেশ্যে ভাষা সংস্কৃতি চর্চা । আমরা একে অন্যের শিল্প সংস্কৃতি গ্রহণ করব তবে নিজের শিল্প সংস্কৃতি বাঁচিয়ে। দিন দিন অপসংস্কৃতি আমাদের গ্রাস করছে। বিশেষ উৎসবে মরসুম এলেই দেখা যায় বাহিরের সঙ্গীত ও ডিজে সংস্কৃতির ফলে বিষাক্ত হয়ে ওঠে আমাদের চারিদিকের পরিবেশ । সেই থেকে রক্ষা পেতে হলে আমরা নিজেদের শিল্প সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। তিনি বলেন ডিজে সংস্কৃতির নামে যেভাবে বেহাল্লিপনা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে বর্তমানের সঙ্গে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। এর জন্য প্রতিটি উৎসব কমিটি ও অভিভাবকদের মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে।