মুসলিম মহিলা চিকিৎসকের হিন্দু ধর্ম গ্রহণ, প্রাণে মারার হুমকি পরিবারের

ডিব্রুগড়(আসাম),০৪ সেপ্টেম্বর : হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করায় এবং মৌলবীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় আসামের মুসলিম চিকিত্সককে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তার পরিবারের বিরুদ্ধে । নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে একথা জানিয়েছেন আলিমা আখতার নামে ওই মহিলা চিকিত্সক ।
ভিডিওতে ওই চিকিত্সককে বলতে শোনা গেছে,বাড়ি থেকে আমাকে এক মৌলভীকে বিয়ে করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু আমি এখন বিয়ে করতে চাই না, আমি আরও পড়াশোনা করতে চাই । যেকারনে আমার পরিবার ও সম্প্রদায়ের লোকজন আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে ।’ তিনি আরও বলেন,’এই হুমকির পেছনে আমার ২ টি ‘অপরাধ’ রয়েছে । প্রথম অপরাধ হল আমি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছি এবং দ্বিতীয় অপরাধ হল কোনো মৌলবীকে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত ।’
ডঃ আলিমা ভিডিওতে আরও বলেছেন যে মাওলানাকে বিয়ে করলে আমি নাকি স্বর্গে যাবো, আর বিয়ে না করলে আমায় নরকে যেতে হবে, একথা জানিয়েছে আমার পরিবারের লোকজন । এই কারনে আমি পরিবার থেকে দূরে কোনো নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি ।
আসাম মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন । কোনো এক বিমানবন্দরে তোলা তার ৩ মিনিট ৭ সেকেন্ডের ভিডিওটি একটি ডিজিটাল চ্যানেল নিউজ লাইভ শনিবার শেয়ার করেছে । বিষয়টি রবিবার নজরে আসে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার । তিনি অবিলম্বে আসামের ডিজিপিকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন । পাশাপাশি ওই মহিলা চিকিত্সকের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে তিনসুকিয়া জেলার গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত হাপজান স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়েছে ।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই চিকিত্সকের ভাই বলে দাবি করা ওয়াকিল খান নামে এক আইনজীবী । তিনি আসাম পুলিশকে জানিয়েছেন যে তার বোন ১৭ আগস্ট থেকে বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। আইনজীবী ইমেইলের মাধ্যমে তার অভিযোগ দায়েরের কথাও জানিয়েছেন । আইনজীবী খানের এই টুইটের উত্তরে ডিজিপি আসাম আইপিএস জিপি সিং তাকে মেয়েটির ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে অবহিত করেন এবং ওয়াকিল খানকে তিনি এই বলে সতর্ক করেন যে তার বোনকে আর কোনো ভাবে হুমকি দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।।