শিলচর ডিভিশনের কার্যালয়ে স্মারকপত্র বিডিএফ এর

শিলচর: ডাক পরিষেবার ক্ষেত্রে শিলচরের (silchar) বহু পুরোনো এবং ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্রীয় সরকারের আর এম এস ‘এস’ ডিভিশনকে উঠিয়ে দেবার চক্রান্ত চলছে। এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী মাননীয় অশ্বিনি বৈষ্ণবের উদ্দেশ্যে লিখিত একটি স্মারকপত্র আজ শিলচরের ক্লাব রোডস্থিত এই ডিভিশনের কার্যালয়ে গিয়ে বরিষ্ঠ অধীক্ষকের হাতে তুলে দিলেন Barak Democratic Front এর সদস্যরা।
পরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে bdf মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন যে শিলচরের (silchar) এই আরএমএস ‘এস’ ডিভিশন প্রতিষ্ঠা হয়েছিল স্বাধীনতার আগে এবং তখন সমগ্র উত্তর পূর্ব সহ তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার ডাক পরিষেবা নিয়ন্ত্রিত হত এই ঐতিহ্যবাহী কার্যালয় থেকে।
এরপর ১৯৭৫ সালে এই অফিসের নিয়ন্ত্রনাধীন কিছু জেলাকে আলাদা করে গৌহাটিতে (guwahati) অনুরূপ আরেকটি ডিভিশন তৈরি করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার নর্থ ইস্ট সার্কেল নামে উত্তর পুর্বে একটি পৃথক ডিভিশন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ইতিমধ্যে agartala ও dimapur এই দুটি স্থান যা silchar ডিভিশনের অধীনে ছিল তা এই প্রস্তাবিত নতুন সার্কেলে সরিয়ে নেবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জয়দীপ বলেন যে আমরা যে সব খবর পাচ্ছি তাতে আশঙ্কা করছি যে শিলচর ডিভিশনের অন্তর্গত অন্যান্য জায়গা যেমন তিনসুকিয়া, অরুণাচল প্রদেশ, যোরহাট,ধর্মনগর ইত্যাদি স্থানের ডাক পরিষেবার দায়িত্বও ধীরে ধীরে এই নতুন সার্কেলে হস্তান্তরিত করা হবে এবং এইভাবে শিলচর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের এই অফিসটি চিরতরে উঠিয়ে দেবার চক্রান্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন অসমের গৌহাটির (guwahati) বরাক বিরোধী লবি এসবের পেছনে সক্রিয় রয়েছে কারণ তারা চায়না যে বরাকের ছেলেমেয়েরা কোনধরনের সরকারি চাকরি পাক। বিডিএফ মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন যে ডাক বিভাগে চাকরির জন্য যারা স্থানীয় ভাষা জানেন তাদের গুরুত্ব দেবার নিয়ম রয়েছে এবং শিলচরের এই ডিভিশনে স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে যেসব কর্মীরা রয়েছেন তাদের অধিকাংশই স্থানীয়।
তাই যদি এই কার্যালয়কে চক্রান্ত করে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে বরাকের ছেলেমেয়েদের স্থানীয় চাকরি পাবার সম্ভাবনা আরো সীমিত হয়ে পড়বে। তিনি বলেন এসব কোন অবস্থায় মেনে নেবেনা বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। তাই নতুন ডিভিশনে তাদের আপত্তি নেই কিন্তু তার এখানকার কর্মী বা পদ ইত্যাদি যাতে কোনোভাবেই প্রভাবিত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে ।
অন্যথা এনিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়বে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। জয়দীপ এই ব্যাপারে বরাক বাসীর সহযোগিতার আবেদন জানিয়েছেন। এদিনের কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় সহ যুবফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত, আহ্বায়ক দেবায়ন দেব, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে, হারাধন দত্ত প্রমুখ।