তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে RTI দাখিল করল BDF

গত ১ ডিসেম্বর একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে উত্তীর্ণ অসমের বরাকের তিন জেলার কর্মপ্রার্থীদের তালিকা আগামী দশদিনের মধ্যে জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছিল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
কিন্তু এখন অবধি এই ব্যাপারে সরকারি তরফে কোন সাড়া না পেয়ে এবার তথ্যের অধিকার আইনের অধীনে এর জন্য আর টি আই দাখিল করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
এক প্রেস বার্তায় bdf মিডিয়া সেলের মুখ্য আহ্বায়ক জয়দীপ ভট্টাচার্য এই ব্যাপারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন যে শিলচরে কেবিনেট বৈঠকের দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যে মোট উত্তীর্ণের কুড়ি শতাংশই বরাক থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন,যা খুবই আশাব্যাঞ্জক ও খুশির খবর।
যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই তথ্য দিয়েছেন তাই সরকারিভাবে বরাক থেকে উত্তীর্ণদের তালিকা বিশদ সহ প্রকাশে কোন অসুবিধা থাকার কথা নয়। তিনি বলেন যে কেন্দ্র সরকারের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায়ও প্রাথমিক ও মুল উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা সরকারি ওয়েবসাইট সহ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এই ব্যাপারে কোন আইনি বাধা নেই। তাই আমরা আশা করেছিলাম যে হয়তো এই তালিকা প্রকাশ করে সরকার বরাকের কর্মপ্রার্থীদের সন্দেহ নিরসনে ব্রতী হবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে বিগত স্বতঃস্ফূর্ত বনধের মাধ্যমে জনগণ এই ব্যাপারে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করার পরও সরকার এতে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
তিনি বলেন যে তাই বাধ্য হয়ে তাঁদের তথ্যের অধিকার আইনের শরণাপন্ন হতে হল। আজ এই ব্যাপারে একটি আর টি আই আবেদন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন যে এই ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়,যা আগেও বলা হয়েছে। বরাকের কর্মপ্রার্থীরা যাতে সুবিচার পান সেটাই তাঁদের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন যে এই নিয়ে পরপর তিনবার সময়সীমা দেবার পরও কেন এই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না তা রহস্যাবৃত।
তিনি বলেন যে তাঁরা এখনও আশা করছেন যে আর টি আই এর জবাব আসা অব্দি অপেক্ষা করতে হবে না। তাঁর আগেই সরকারি তরফে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে । BDF কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক খাইদেম কান্ত সিং এদিন বলেন সরকার স্থানীয় সুপারির পরীক্ষা ইত্যাদি কাজে বরাকেই যে চেকগেটের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানাচ্ছে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
তবে এরপরেও কিছু দালাল চক্র এই ব্যাপারে সক্রিয় রয়েছে,যারা বিভিন্ন ভাবে এতে নাক গলাচ্ছে ও অবৈধ রোজগারের চক্রান্ত করছে। এইসব অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে পুলিশ, প্রশাসনকে। অন্যথা অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি ।
বিডিএফ আহ্বায়ক আরো বলেন তাঁরা আশাবাদী যে মুখ্যমন্ত্রী যেসব প্রকল্প ঘোষণা করে গেছেন সেসব বাস্তবায়নের ব্যাপারে সুসংহত ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন যে একটি কল্যাণকামী রাস্ট্রের নাগরিকরা যে কর দেন তা জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়নের কাজে ব্যায়িত হবার জন্যই।
তাই যে কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়ন জনতার অধিকার। এটি কোন দলের বা রাজনৈতিক নেতার দাক্ষিন্য নয়। তাই এইসব নিয়ে আগাম কৃতিত্ব দাবি না করে বরঞ্চ সঠিক বাস্তবায়নের জন্য সচেষ্ট হওয়া উচিত শাসকদলের কর্মকর্তাদের। কারণ জনগনের কাছে সেটাই প্রকৃত বিচার্য্য হবে। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে।