শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের দোকান থেকে নেশাজাতীয় সামগ্রী সরান : রাজ্যপাল

জনসংযোগ, হাইলাকান্দি, ২৩ মে : রাজ্যপাল গোলাবচান্দ কাটারিয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশের দোকান থেকে গুটকা জাতীয় নেশা সামগ্রী বিক্রি বন্ধ সুনিশ্চিত করতে বলেছেন। রাজ্যপাল মঙ্গলবার হাইলাকান্দি জেলাশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় জেলায় বাস্তবায়ন করা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির পর্যালোচনার সময় জেলা প্রশাসনকে এই নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন এ ধরনের নেশা সামগ্রির চোরাচালান প্রতিরোধ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজ্যপাল জেলার হাসপাতাল গুলিতে আসা সব ধরনের রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা সুনিশ্চিত করতে প্রশাসনকে বলেন এবং ব্লাড ব্যাংকে পর্যাপ্ত রক্ত মজুত রাখতে বলেন।
পাশাপাশি কৃষি বিভাগকে জেলার ১০০ শতাংশ কৃষক যাতে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা এবং কিষান বীমা যোজনায় উপকৃত হতে পারেন সে ব্যাপারে সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন।
বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী আবাস গ্রামীণ যোজনায় পুরনো প্রকল্পে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০- ২১ পর্যন্ত জেলায় ১৫৯১৩ টি ঘর মঞ্জুর হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ১৪৮১৫টির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ন্যাশনাল সোসিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম অনুযায়ী ,৮ স্কিমে জেলায় ৪৪,২৫৪ জন উপকৃত হয়েছেন। পি এইচ ই থেকে বৈঠকে জানানো হয়,জেলার নলবাহিত ৫৪৩ টি প্রকল্পের মধ্যে ১৬৭ টির কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে এবং ৩৭৬টির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয় যে জেলার মিড ডে মিলের কর্মসূচিতে এক লক্ষ ৭ হাজার ৩১৯ জন পড়ুয়া উপকৃত হচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী কৌশল বীমা যোজনায় তিন মাসের দক্ষতা বিকাশে জেলায় ২৫৯৭ জন তিন মাসের ট্রেনিং নিয়েছেন। এরমধ্যে ২৬৮০ জনকে ইতিমধ্যে কর্মসংস্থান দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক নিসর্গ হিভারে গৌতম পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আরো জানান যে জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশনের মাধ্যমে জেলার এস এইচ জি গুষ্টিদের উদ্যোগে উৎপাদিত ৩০ টি সামগ্রী গুগলের অনলাইন মার্কেটিং এ বিক্রি হচ্ছে।
রাজ্যপাল কাটারিয়া বৈঠকে উপস্থিত জেলার সব বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক এবং নিরাপত্তা এজেন্সিগুলির কর্মকর্তাদেরকে বলেন জেলায় দরিদ্র জনসাধারণের কল্যাণে বাস্তবায়ন করা কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন করতে কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে প্রকল্পগুলির দ্রুত রূপায়ণ সুনিশ্চিত করতে এই রিভিউ বৈঠক ডাকা হয়েছে।