শ্রীভূমির বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ!

শ্রীভূমি, ৪ অক্টোবর : কেন্দ্র এবং রাজ্যে বিজেপি সরকার অধিষ্ঠিত থাকার পরও দুর্গাপূজার আগে বরাক উপত্যকার তিন জেলায় ভেঙে পড়া রাস্তাঘাটের প্রকৃতপক্ষে কোনই কাজ হল না।
শ্রীভূমি শহরের পেট্রোল পাম্প থেকে সুতারকান্দি পর্যন্ত জাতীয় সড়ক এবং জেলার প্রত্যেকটি অলিগলির অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। গর্তে ভর্তি ঢেউ ঢেউ রাস্তায় জীবন যাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। পুজোর প্যান্ডেলে মূর্তি নিয়ে যাওয়ার পথে অনেক – মূর্তিতে ভাঙন ধরেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, শেষ পর্যন্ত পুজোকে সামনে রেখে শহরের রাস্তায় নিয়মরক্ষার যে কাজ হয়েছে তা এখনই উঠে যাচ্ছে। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে জনমনে।
এদিকে শ্রীভূমি শহর হয়ে পোয়ামারা-চুরাইবাড়ি জাতীয় সড়কের অবস্থাও বিপজ্জনক।
অসম প্রদেশ বিজেপি কিষাণ মোর্চার প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বরাক ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল দাস জানান, বিগত দিনে তাদের সংগ্রামের ফসল হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকার প্রথমে প্রায় ১১৭ কোটি টাকা এবং পরবর্তীতে আরো বেশ কিছু টাকা পোয়ামারা-চুরাইবাড়ি জাতীয় সড়কের কাজ এবং পরবর্তী সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সংস্কার তো দূর, অর্ধসমাপ্ত কাজেরই কোনও সুরাহা হয়নি বলে তিনি জানান। প্রায় তিনটি রাজ্যের সংযোগকারী একমাত্র রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য জনগণ বারংবার ভুগছেন।
বলেন, পোয়ামারা ব্রিজটি এক ভয়ংকর অবস্থানে রয়েছে। এই ব্রিজের সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু সবাই নিশ্চুপ। এই সকল বিষয় নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গাড়কারি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে নালিশ করার কথা জানান প্রবীণ বিজেপি নেতা নীলোৎপল দাস।
তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানান, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে গুয়াহাটিতে বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভার ও ব্রহ্মপুত্রের উপর বেশ কয়েকটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু বরাক উপত্যকার রাস্তাঘাটের এমন বেহাল অবস্থার পরও কোন কাজ হয় না। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উপত্যকার রাস্তাঘাটের বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরার কেউ নেই!
তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, শ্রীভূমিতে কোনও কাজ না হলেও কিছু নেতা নিজের প্রচারে কোনও খামতি রাখছেন না। কোনও মন্ত্রী জেলা সফরে এলে কে কার আগে মুখ দেখাবেন এই নিয়ে দস্তুরমতো প্রতিযোগিতা চলে বলে মন্তব্য করেছেন নীলোৎপল দাস। তিনি জেলার বেহাল রাস্তাঘাটের দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে।