করিমগঞ্জ জেলায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুটি প্রদান করলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ ও অভিভাবক মন্ত্রী

জনসংযোগ, করিমগঞ্জ, ১২ ডিসেম্বর : রাজ্য সরকারের প্রজ্ঞান ভারতী কার্যসূচির অধীনে করিমগঞ্জ জেলায় সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের ড.বাণীকান্ত কাকতি মেধা পুরস্কার হিসেবে স্কুটি প্রদান কার্যসূচির শুভ সূচনা করলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারী এবং রাজ্যের জল সম্পদ, তথ্য ও জনসংযোগ, সংসদীয় বিষয় তথা করিমগঞ্জ জেলার অভিভাবক মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা।
১২ ডিসেম্বর, সোমবার বেলা ১১ টায় বদরপুর নবীনচন্দ্র কলেজ প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে ১০ জন ছাত্রছাত্রীকে স্কুটির চাবি ও শংসাপত্র প্রদান করে এই কার্যসূচির শুভ সূচনা করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অভিভাবক মন্ত্রী তার ভাষণে বলেন যে উচ্চতর মাধ্যমিক চূড়ান্ত বছরের পরীক্ষায় যেসব ছাত্রী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ এবং যেসব ছাত্র ৭৫ শতাংশ বা তার অধিক নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরকে রাজ্য সরকার থেকে ড. বাণীকান্ত কাকতি মেধা পুরস্কার হিসেবে স্কুটি প্রদান করা হচ্ছে। এই স্কুটি প্রদান করার উদ্দেশ্য হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ বৃদ্ধি করা।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন যে উচ্চতর মাধ্যমিক পাশ করার পর স্নাতক স্তরে মনোযোগী হয়ে পড়াশুনা করে ভবিষ্যতে যাতে ছাত্রছাত্রীরা একটি ভাল পদে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তার দিকে ধ্যান দিতে হবে এর জন্য পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া একান্ত আবশ্যক। প্রসঙ্গক্রমে তিনি উল্লেখ করেন যে সমগ্র বিশ্বজুড়ে যেসব নামিদামি এবং বড় আকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কোম্পানি ও সংস্থাগুলি রয়েছে তার মধ্যে বেশীরভাগ কোম্পানিতে বা সংস্থায় ভারতীয়রা উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী ক্ষমতাশালী ব্যক্তিত্বের ১০০ জনের তালিকায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সামর্থ হয়েছে।
এই উদাহরণের মাধ্যমে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সমাজের জন্য এবং রাজ্য তথা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে যেতে আহ্বান জানান। পাশাপাশি রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারী তার ভাষণে রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের এই স্কুটি গ্রহণের মাধ্যমে উৎসাহিত হয়ে মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হতে পরামর্শ দেন এবং তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
এতে পৌরোহিত্য করে করিমগঞ্জের জেলাশাসক মৃদুল যাদব জানান যে সমগ্র রাজ্যের সঙ্গে করিমগঞ্জ জেলায় ২০২২ সালের এই পুরস্কারের অধীনে ৭১৯ জন ছাত্রী এবং ১৪৩ জন ছাত্রকে স্কুটি প্রদান করা হচ্ছে। তিনি স্কুটিগুলিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে এগিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে আসাম রাজ্যিক পরিবহন নিগমের চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাস ও পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল রাজ্য সরকার থেকে প্রদান করা এই পুরস্কারের রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
পাশাপাশি রাজ্য তথা প্রতিটি বিধানসভার এলাকার উন্নয়নের জন্য গ্রহণ করা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন নবীনচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ ও করিমগঞ্জ জেলায় এই পুরস্কার প্রদানের নোডাল প্রিন্সিপাল ড.মর্তুজা হোসেন।
তিনি জানান যে অনুষ্ঠানে ১০ জনকে স্কুটি প্রদান করা হচ্ছে বাকি ছাত্র-ছাত্রীদের পর্যায়ক্রমে অবগত করা হবে এবং স্কুটি ও শংসাপত্র প্রদান করা হবে। এই পুরস্কারের জন্য তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার, দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দিক আহমেদ, দৈনিক নববার্তা পত্রিকার সম্পাদক হবিবুর রহমান চৌধুরী মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন কলেজ ও হাইয়ার সেকেন্ডারি থেকে আগত শিক্ষক শিক্ষিকা ছাত্র ছাত্রী অভিভাবক এবং সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি ও বরিষ্ঠ নাগরিকরা অংশগ্রহণ করেন।