সীমান্তে শরণার্থী শিবির স্থাপনের দাবি

শিলচর পিএনসি ১১ জুলাই – বাংলা দেশে অত্যাচারিত হিন্দুদের শরনার্থী হিসেবে ঘোষণা করে ১৯৭১ সালের মতো সীমান্তে শিবির স্থাপন করে তাঁদের আশ্রয় দেয়া উচিত বলে সামাজিক সংগঠন ড শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি মেমোরিয়াল স্বার্থ সুরক্ষা পরিষদ মতামত প্রকাশ করেছে। পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক হারাণ দে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে ইমেইল যোগে এই দাবি পাঠিয়ে বলেছেন যে জয়শঙ্করের দ্বারা লোক সভায় বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের জন্য কেবল সরকারের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করলেই হবেনা। বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেহেতু হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয় তাই ভারতের উচিত সেদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করা এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ দাবি করা। পরে হারাণ বাবু সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন যে যেহেতু দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করা হয়েছিল তাই ভারতের সংবিধানে হিন্দু রা নিঃশর্তভাবে যখন ইচ্ছে ভারতে আসতে পারবেন এবং মুসলিম রা যখন ইচ্ছে পাকিস্তান ( বর্তমান বাংলাদেশে ) যেতে পারবেন এমন সংস্থান থাকা উচিত ছিল। এই মর্মে হারাণ বাবু সিএএ বা কা প্রয়োগ না করে অবিলম্বে সংবিধান সংশোধন করার দাবি জানান এবং এতে হিন্দুরা নিঃশর্তভাবে যখন ইচ্ছে ভারতে আসতে এবং মুসলিমরা যখন ইচ্ছে বাংলাদেশ যেতে পারবেন এমন সংস্থান করতে হবে । হারাণ বাবু আক্ষেপ করে বলেন যে এম কে গান্ধী ও জওহর লাল নেহেরু র অদূরদর্শিতায় দেশ ভাগ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়াতে আজ বাংলাদেশের হিন্দুদের এই অবস্থায় পড়তে হয়েছে। এই দেশ ভাগ করার আগে বাংলাদেশের এই অত্যাচারিত মানুষের পূর্বপুরুষদের কি কোনো মতামত নেয়া হয়েছিল? হারাণ বাবু এই প্রশ্ন তোলেন এবং বলেন যে তাই যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা ভারতে আসতে চাইবেন তাঁদেরকে এদেশে সংস্থাপন দেয়া হবে ভারত সরকারের কর্তব্য ও দায়িত্ব।