সাংবাদিকের পরিবার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হামলা; দোষীদের শাস্তি দাবি প্রেস ক্লাব করিমগঞ্জের

করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকার কানাইবাজারে জনৈক সাংবাদিকের পরিবারের ওপর এবং তাঁর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পূর্বপরিকল্পিত হামলার উচ্চস্তরীয় তদন্ত দাবি জানিয়ে আজ সোমবার করিমগঞ্জের জেলাশাসকের কাছে স্মারকপত্র তুলে দিয়েছে প্রেস ক্লাব করিমগঞ্জ। ম্যাজিস্ট্রেট স্তরে তদন্ত ঘোষণা জেলাশাসকের।
গত ২৪ ডিসেম্বর পাথারকান্দি বিধানসভার কানাইবাজার এলাকার গড়েরমুখে সাংবাদিক তথা ব্যবসায়ী নীহাররঞ্জন দেবনাথের দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়েছে প্রেস ক্লাব করিমগঞ্জ। খবরে প্রকাশ, পাথারকান্দির একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া তথা কবি-সাংবাদিক নীহারঞ্জন দেবনাথের ছেলে নির্ঝর দেবনাথ স্কুলে যাওয়ার পর বেদম প্রহার করেন স্কুলের একজন শিক্ষক। এতে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। পরে এ ব্যাপারে পাথারকান্দি থানায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করেন ছাত্রের বাবা তথা নীহার দেবনাথ। শিক্ষকের মারে তাঁর ছেলের কান থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় পরেরদিন শনিবার তাঁকে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে আসেন বাবা নীহার।
এদিকে, এদিন বিকেলে ছেলেকে নিয়ে নীহারবাবু যখন বাড়ি ফিরে আসছিলেন তখন অভিযুক্ত শিক্ষক এবং তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরা এসে ঘটনার মীমাংসা করতে চান। নীহার দেবনাথ তাঁদের বলেন, যেহেতু তাঁর ছেলে বর্তমানে অসুস্থ, তাই সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ঘটনার জন্য কোনও মীমাংসার পথে যাবেন না। এর পরই মহামায়া সুইটস নামে তাঁর দোকানে আচমকা হামলা করে অভিযুক্ত শিক্ষকের দলবল। দোকান সামাল দিতে আসেন নীহার দেবনাথ, তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র-কন্যা। তখন তাঁদের সবাইকে মারপিট করা হয়। দোকানের সমস্ত সামগ্রী ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক ও তার উন্মত্ত দল। মারধরে আহত নীহার দেবনাথ সহ পরিবারের সদস্যদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, নিগৃহীত দেবনাথ দৈনিক যুগশঙ্খ পত্রিকার সাংবাদিক, পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত। ফলে এ ধরনের এক ব্যক্তির পরিবার ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অমানবিক হামলার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রেস ক্লাব করিমগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক অরূপ রায়. বিভাস বর্ধন, হীরক দাস, সুজয় শ্যাম, তনুশ্রী রায়, দিব্যজ্যোতি পুরকায়স্থ, জয়দীপ দাস সহ ক্লাবের অন্যান্য সদস্যরা।
এদিকে প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনার সময় জেলাশাসক মৃদুল যাদব বলেন, বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেট স্তরে তদন্ত হবে। ইতিমধ্যে পাথারকান্দির সার্কল অফিসারকে এই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি তিনি নিজেও নজর রাখছেন।