আমার মাটি আমার অধিকার – বঞ্চিত হতে চলেছেন বাংলা ভাষা ভাষী মানুষ

শিলচর, পিএন সি, ১৬ এপ্রিল – সরকার মতই ঢাক ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করুন না কেন কিন্তু বসুন্ধরা ২.০ তা থেকে নিশ্চিত ভাবেই বঞ্চিত হবেন বাঙালি জনগোষ্ঠীর মানুষ।এই বসুন্ধরা ২.০ তে ১৯৫১ এর সংযোজন করা হয়েছে বলে এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সমগ্র রাজ্যে অনলাইন পদ্ধতিতে আবেদন করেছেন লাখ লাখ মানুষ, কিন্তু সবাই যে ম্যাদি পাট্টা পাবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই বলে আশঙকা ব্যাক্ত করেছেন প্রবীণ সাংবাদিক ও সোসিয়াল এক্টিভিস্ট হারাণ দে ।
সরকার তাদেরকেই জমির ম্যাদি পাট্টা প্রদান করবেন যারা আসাম রাজ্যে ১৯৫১ ইং সালের পূর্বে এসেছেন । এছাড়া যাদের নাম ১৯৬৫ ইং সালের ভোটার তালিকা তে আছে তাদের কে প্রাধান্য দিতে অলিখিত নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
আসাম ভূমি সংশোধন আইন ২০১৬ এবং আসাম চুক্তির আধারে শুধুমাত্র ভূমি হীন ভূমি পুত্র দের জমির অধিকার সুনিশ্চিত করতে বসুন্ধরা ২.০ প্রকল্পের সুচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাংশ সরকারি কর্মকর্তা। এদিকে অনলাইনে আবেদন করার সময় শেষ হতেই অফলাইন করে রাখা জেলা গুলো তে বসুন্ধরা ২.০ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।দেখা গেছে প্রথম দিকে বিগত তিন দশক ধরে যে সকল রায়তী গন প্রজা স্বত্ব খতিয়ান পেয়েছেন ১৯৯২ ইং পর্যন্ত তাদের কে ম্যাদি পাট্টা প্রদান করতে প্রাথমিক কাজ শুরু করা হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যে সরকার ১৯৯২ ইং সাল পর্যন্ত যারা রায়তী খতিয়ান পেয়েছেন তাদের কে ম্যাদি পাট্টা প্রদান করবেন কিন্তু এরপর যারা খতিয়ান পেয়েছেন তাদের কি হবে? এসব তথ্য জানতে পেরে অনেকেই উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। সংবাদ সংস্থা পিএন সি অনেকেই জানিয়েছেন যে” দীর্ঘদিন ধরে আমরা যারা সিলিং উদ্বৃত্ত জমিতে দখল করে বসবাস করছি আমাদের তো ১৯৬৫ সালের ভোটার তালিকায় আমাদের বাপ ঠাকুর দার নাম নেই আমাদের কি হবে”? এদিকে হাওর অঞ্চলের মানুষও এই একই কথা বলছেন। তাহলে কি তারা ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন ?
এভাবে যদি সরকারের গাইডলাইন থেকে যায় তাহলে কাছাড় জেলার শিলচর ও কাটিগড়া বিধানসভা চক্রের লাখ লাখ মানুষ ভূমির অধিকার থেকে বঞ্চিত যে হবেন তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। ভূমির অধিকার সুনিশ্চিত করতে যদি ১৯৫১ ইং কে সেঁটে দেওয়া হয় তাহলে বরাক উপত্যকার কথা বাদই দিলেও ব্রহ্ম পুত্র উপত্যকার ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মাথার উপর খাঁড়া নেমে আসবে বলেই মনে করছেন হারাণ বাবু । এসবের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক দলের কথা বলার সাহস নেই- কারন সব রাজনৈতিক দলের প্রধান গণ আসাম চুক্তি অনুযায়ী আসামের বিদেশি সমস্যা,সহ সব সমস্যার সমাধান করতে নথীতে স্বাক্ষর করেছেন ২০১৫ ইং সালে। তাই এ বিষয়ে তাঁরা কোনো তৎপরতা দেখাতে পারবেন না বলে অনুমান করা হচ্ছে।