উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত পাথারকান্দির বৈঠাখাল বস্তি, অভিযোগ

পাথারকান্দি : দেশ পালন করছে স্বাধীনতার অমৃতকাল। কিন্তু এই অমৃতকালেও করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাথারকান্দির একাংশ গ্রামে তেমন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি, উঠেছে বিস্তর অভিযোগ।
বিজেপি-শাসিত সরকার প্রতিটি পিছপড়া এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্ব দিলেও আজ পর্যন্ত পাথারকন্দির বেশ কয়েকটি গ্রাম ও চা বাগানের জনগণ উপেক্ষিত বলে অভিযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট বঞ্চিত নাগরিকরা। এ নিয়ে আজ শনিবার সাংবাদিকদের ডেকে লোয়াইরপোয়া ব্লকের ডেঙ্গারবন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত (জিপি)-এর সাত নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ বৈঠাখাল বস্তির দুর্দশাগ্রস্ত জনগণ তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
স্থানীয়রা জানান, বলতে গেলে স্বাধীনতার পরবর্তীকালেও তাঁরা নানান সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত। ফলে এখানকার অর্ধশতাধিক পরিবারের লোক প্রতিনিয়ত দুর্দশার শিকার হচ্ছেন। কংগ্রেস সরকারের আমল থেকেই তাঁরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে জানান। এমন-কি বর্তমান বিজেপি সরকারের সময়ও তাঁরা সার্বিক উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত। গ্রামের সর্বত্র শুধু নেই নেই রব।
তাঁদের আরও অভিযোগ, যেখানে সরকারি কাজের প্রয়োজন, সেখানে কাজ না করে এক রাস্তায় তিন-তিনবার সরকারি অর্থ বরাদ্দ হচ্ছে। অথচ যেখানে প্রয়োজন সেখানে বরাদ্দ হচ্ছে না। বর্তমানে পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের দ্বিতীয় কার্যকালের দু বছর পূর্ণ হয়ে তিন বছরে পদার্পণ করেছে। কিন্তু আজও তাঁরে বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, সেতু, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত। পানীয় জলের জন্য বর্ষার মরশুমে বৃষ্টির জল নয়তো-বা বন্যার জল, আবার শুকনোর মরশুমে দূরবর্তী এলাকা থেকে সংগ্রহ করতে হয় খাল, বিল, নালা-নর্দমার কর্দমাক্ত অপরিশোধিত নোংরা জল। ফলে গ্রামের জনগণের মধ্যে অসুখ-বিসুখ লেগে থাকে।
জাতীয় সড়কের অদূরবর্তী এই গ্রামের জনগণ আরও বলেন, তাঁদের সময় সময় গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করা হলেও পরবর্তীতে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়। পুরো সমস্যা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে জেলাশাসক, সার্কল অফিসার সহ বিধায়কের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গ্রামের বাসিন্দা রতন দাস, অরূপ দেব, সুমন বৈদ্য, আশুতোষ দেব, জয়া দাস, বিজয় সরকার, অশোক দাস, বিনুবলা দাস, পতি দাস প্রমুখ।