করিমগঞ্জে মনীষী বিপিনচন্দ্র পালকে স্মরণ

করিমগঞ্জ : জন্মদিনে মনীষী বিপিনচন্দ্র পালকে সমর্যাদায় স্মরণ করা হলো করিমগঞ্জে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের করিমগঞ্জ শহর সমিতি আয়োজিত এক সভায় বিভিন্ন বক্তা প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখার সময় তাঁর জীবন, চিন্তা ও সম্পর্কে আলোকপাত করেন। এদিন সকালে বিপিন পালের আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে।
বঙ্গসাহিত্যের জেলা সমিতির কার্যালয় বিপিনচন্দ্র পাল স্মৃতি ভবনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তীর পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সভায় ড. সব্যসাচী রায় ড. নির্মলকুমার সরকার, বিবেকানন্দ মোহন্ত, মাশুক আহমদ, অরবিন্দ পাল, সুবীর রায়চৌধুরী, ঝুমা দাস প্রমুখ বিপিন পালের জীবন, চিন্তা ও কাজের বিভিন্ন পর্ব উন্মোচন করেন। ধর্ম – সমাজ সংস্কার বিষয়ে বিপিনচন্দ্র পালের অবদান স্মরণ করেন সব্যসাচী।সঠিক পরিসরে বিপিনচন্দ্র পালকে শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়াস নেওয়া হবে বলে তিনি তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন। যুব প্রজন্মের মধ্যে বিপিন পালকে ছড়িয়ে দেওয়ায় গুরুত্ব আরোপ করেন নির্মল সরকার।
মাশুক আহমদ বলেন, বাঙালি একটি সমৃদ্ধ জাতি। বাঙালির ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি খুব সমৃদ্ধ। সেই বাঙালির দর্প চূর্ণ করে দিতে ১৯০৫-এ ব্রিটিশ বঙ্গ বিভাজন করে। বিপিন পাল এর বিরুদ্ধে স্বদেশি আন্দোলনকে জোরদার করে তোলেন। বিবেকানন্দ মোহন্ত জন্ম মৃত্যু অবধি বিপিন পালের বিভিন্ন পর্ব খোলসা করেন। বিপিন পাল সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতা আহ্বানের পরামর্শ দেন বাণীব্রত রায়। সভাপতির বক্তব্যে রাধিকারঞ্জন চক্রবর্তী সামগ্রিক বিপিন পাল সম্পর্কে আলোচনা করেন। তাঁর মানবতাবাদী ও সাম্যবাদী চিন্তাচেতনার প্রশংসা করেন তিনি। বিপিন পালের আদর্শকে আমাদের জীবনচর্যায় কাজে লাগাতে বলেন রাধিকারঞ্জন । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সব্যসাচী রায় । ধন্যবাদ জানান নীলোজ দাস ।
এদিকে সকালে করিমগঞ্জ কলেজ প্রাঙ্গণে বিপিন চন্দ্র পালের মর্মর মূর্তিতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বরাক কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি সুবীর রায় চৌধুরী, সব্যসাচি রায়, শহর সমিতির সভাপতি সৌমিত্র পাল,সম্পাদক নিলোজ দাস, নির্মল সরকার, দেবব্রত ভট্টাচার্য্য, নন্দ কিশোর বনিক,রাজন সাহা সর্দার,গোবিন্দ দত্ত,অরূপ রায় প্রমূখ ।