রামকৃষ্ণ মিশনের দুই সন্ন্যাসীর হাতে উদ্বোধিত করিমগঞ্জের ইয়ুথ স্কোয়ার দুর্গাপূজা মণ্ডপ

করিমগঞ্জ : ঘড়িতে সময় তখন ঠিক চারটা। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বিশুদ্ধ পঞ্জিকার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী উদ্বোধন করা হয়েছে করিমগঞ্জ শহরের এবারের মূল আকর্ষণ ইয়ুথ স্কোয়ার ক্লাবের পুজো মণ্ডপ। রামকৃষ্ণ মিশনের দুই সন্ন্যাসীর হাত ধরে মণ্ডপ উন্মোচন করার পর উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে দর্শনার্থীদের জন্য।
সুবর্ণবর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যে ইয়ুথ স্কোয়ার যে চমক দেখাবে তা আগে থেকে আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। আজ বোধনের সন্ধ্যায় ঢল নামে মানুষের। জোড়া মণ্ডপ এবং আশপাশ এলাকার কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। বলা চলে জনসমুদ্র।
মহাষষ্ঠীর সকাল থেকেই রঙমশালের মতো রঙের ঝরনাধারায় ধুয়ে গিয়েছে গোটা ক্লাব এলাকা। এক কথায় কাল্পনিক মন্দিরের আদলে গড়ে ওঠা ইয়ুথ স্কোয়ারের পূজা মণ্ডপ যেন করিমগঞ্জের মানুষের কাছে নতুন তীর্থক্ষেত্র।
জমজমাট পুজো মণ্ডপে একে চন্দননগরের বাহারি আলোকসজ্জা, তার ওপরে বিভিন্ন শিল্পকলার নিদর্শন তুলে ধরা হয়েছে। আলোয় ঝলমল করছে মণ্ডপ। মণ্ডপের সাথে সাদৃশ্য রেখে প্রতিমাও তৈরি করা হয়েছে। দেবীর প্রতিমায় রয়েছে একাধিক চমক।
মহিষাসুরমর্দিনকে বিভিন্ন দেবদেবীর অস্ত্রদান তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে দেবীবন্দনা থেকে শুরু করে প্রণামমন্ত্র গুলিও প্রদর্শিত করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী প্রভাসানন্দজি মহারাজ। সঙ্গে ছিলেন নরোত্তমনগর রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী অচ্যুতেশানন্দজি মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, অসম রাজ্য পরিবহণ নিগম (এএসটিসি)-এর চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস, পুরপতি রবীন্দ্রচন্দ্র দেব, পূজা কমিটির সভাপতি অশোক দেব, সম্পাদক তাপস পুরকায়স্থ, ক্লাব সভাপতি শ্রীপতি রায়, নিখিলরঞ্জন রায়, ওয়ার্ড কমিশনার নির্মল বণিক, রূপাঞ্জলি বণিক, জয়পতি বণিক সহ শহরের বিশিষ্ট বহুজন।
আজ মণ্ডপ উদ্বোধনীর দিন স্মরণিকা উন্মোচনের পাশাপাশি রিলিজ করা হয় সুবর্ণজয়ন্তীর থিম সঙ।