Barak Valley

করিমগঞ্জে সরকারি শ্মশানের দুরবস্থা নজর নেই বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের

করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জ শহরের একমাত্র সরকারি শ্মশানের দুরবস্থা দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠতে পারেন৷ শেষ কত বছর আগে এর সংস্কার বা মেরামতি হয়েছিল সেটা বলতে না পারলেও বর্তমানে মান্ধাতা আমলের তৈরি হওয়া ব্রজেন্দ্ররোডের শ্মশানের দুটি চুল্লি ভেঙে প্রায় চুরমার হয়ে গেছে৷ বাধ্য হয়ে ভগ্নপ্রায় সেই চুল্লি দিয়েই কোনও রকমে শবদাহ প্রক্রিয়া চলছে দীর্ঘদিন থেকে৷ দিনের বেলা কোনওরকম শবদাহ কার্য সম্পন্ন হলেও রাতের বেলায় একপ্রকার অন্ধকারের মধ্যেই শবদাহ করতে হয়৷ নেই কোনো কেয়ারটেকারজ্বলে যাওয়া কাঠের টুকরো সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামান্য একটি কোঁদাল পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না৷ শবদাহ করতে আসা লোকজনদের জন্য বসার ব্যবস্থা থাকলেও সংস্কারের অভাবে একেবারেই বেহাল অবস্থায় পরে রয়েছে স্থায়ী বেঞ্চগুলো৷ শবদাহের পর জ্বলন্ত কাঠের টুকরো যথাস্থানে পরে থাকায় একেবারেই নোংরা পরিবেশ শ্মশান চত্বরে৷ নালাগুলোতে নোংরা জল জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও নূন্যতম কথা বলার লোক পাওয়া যায় না৷ অথচ প্রতিদিনই শহরের বিভিন্ন এলাকায় কোন না কোন রাস্তা নির্মাণ সহ নালা-নর্দমা সংস্কারে কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ হচ্ছে৷

সরকারি তহবিলের আদ্যশ্রাদ্ধ করে বরাকের প্রথম ইলেকট্রিক চুল্লি (পড়ুন বর্তমানে বিকল) বসানো সহ ঘর তৈরিতে (পড়ুন বর্তমানে পরিত্যক্ত) কয়েক লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও ঠিক সমপরিমানের অর্থ যদি পুরো পুরনো শ্মশানের উন্নতি কল্পে ব্যায় হতো, তবে আজকের দিনগুলোতে এমনটা সমস্যায় পড়তে হতো না৷

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরব সবাই অথচ ‘শেষ ঠিকানা’ (শ্মশান ঘাট) নিয়ে মাথাব্যাথা নেই কারোর

ব্রজেন্দ্র রোডস্থ শ্মশানের দুরবস্থা, অথচ চরবাজার, সুভাষনগর শ্মশান দেখলেই মন জুড়ে যায়৷ শবদাহ ব্যবস্থার কথাটা না হয় উহ্যই রইল৷ দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় চাহিদা গুলো পুরোপুরি বা যথাযথ মেটানো যাচ্ছে, অথচ শ্মশানের বেলায় সবাই নিশ্চুপ৷ Social Media-তে প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়ে, বিনোদনের ছড়াছড়ি, একেকজনের পোস্ট দেখলে দরদ একেবারে উথলে উঠে, কিন্তু ব্রজেন্দ্র রোড শ্মশানের কথা আমরা কেউই তুলে ধরি না৷ শহরে আরো অন্য শ্মশান গুলো ব্রজেন্দ্র রোডের শ্মশান থেকে ঢের ভালো৷

রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অতিসত্বর এই শ্মশান সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা৷ পুরনো চুল্লি ভেঙে নতুন করে বানানো সহ নতুন ড্রেন তৈরি করে চুল্লির শেড বসানোর ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন৷

Show More

Related Articles

Back to top button