আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গীতার শ্লোক নিয়ে কর্মশালা

শিলচর পিএন সি ১৬ আগষ্ট -আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হল শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার শ্লোকোচ্চারণ সম্বন্ধিত একদিনের কার্যশালা। ১৬ থেকে-২২ আগস্ট পর্যন্ত সংস্কৃত সপ্তাহ উদযাপনের অঙ্গরূপে ‘ একদিনের কার্যশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃত বিভাগের বরিষ্ঠ অধ্যাপিকা স্নিগ্ধা দাস রায় এবং মূখ্য অতিথি হিসেবে এতে ভারতীয় জ্ঞান পরম্পরার কর্ণধার এম্. গঙ্গাভূষণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সংস্কৃত বিভাগের বিভাগাধ্যক্ষ শান্তি পোখরেল , অধ্যাপক গোবিন্দ শর্মা, কেশব লুইটেল ও, কৃষ্ণা সিন্হা প্রমুখেরা এই কার্যশালায় উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়। উত্তরীয় প্রদানের মধ্য দিয়ে অতিথিদের স্বাগত জানান বিভাগীয় ছাত্রছাত্রীরা। বিভাগীয়া অধ্যাপিকা স্নিগ্ধা দাস রায় গীতার অধ্যায় বিভাজন, বিষয় সংক্ষেপ, কর্মের দ্বারা সিদ্ধি লাভ ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, অর্জুনের মত আমরাও জীবনে ক্লিষ্ট, তাই গীতা শুধু অর্জুনের জন্য নয়, আমাদের সবার জন্য। এভাবে তিনি গীতার বিষয়বস্তুর সার তুলে ধরেন। মূখ্য অতিথি রূপে উপস্থিত গঙ্গাভূষণ বলেন, সংসাররূপী সমুদ্রের নৌকা হলো গীতা, যার মাঝি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তার বক্তব্যে উঠে আসে ভক্তির মাধ্যমে কর্মের প্রসঙ্গ। বিভিন্ন শ্লোকের উদাহরণ দিয়ে তিনি ব্যবহারিক জীবনে গীতার গুরুত্ব বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। গোবিন্দ শর্মার দ্বারা উপস্থিত সকল কে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রথম পর্বের কার্যক্রম শেষ করেন।
এরপর গীতার শ্লোকোচ্চারনের সর্বমোট চারটি সত্র অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সত্রে শান্তি পোখরেল গীতার প্রথম অধ্যায়ের প্রথম ১০ টি শ্লোক এবং একাদশাধ্যায়ের ১৫-১৭ পর্যন্ত শ্লোকের উচ্চারণবিধি সম্পর্কে শেখান। দ্বিতীয় সত্রে কেশব লুইটেল একাদশাধ্যায় এবং দ্বাদশাধ্যায়ের কিছু শ্লোকোচ্চারণের শিক্ষা দেন। মধ্যাহ্নভোজনের পর শুরু হয় তৃতীয় সত্র। এই সত্রে গোবিন্দ শর্মা গীতার দ্বিতীয় এবং পঞ্চদশাধ্যায়ের কিছু শ্লোক উচ্চারণের শিক্ষা দেন। চতুর্থ সত্রে কৃষ্ণা সিনহা গীতার তৃতীয়, একাদশ এবং দ্বাদশাধ্যায়ের কিছু শ্লোকোচ্চারণের শিক্ষা দেন।