অযোধ্যায় সাত হাজার বাঁশ পাঠালো বকো
বকো (অসম) : অযোধ্যায় সাত হাজার বাঁশ পাঠালো অসমের কামরূপ গ্রামীণ জেলার বকো। রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাজে লাগানো হবে বাঁশগুলি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যে সকল পুণ্যার্থী যাবেন তাঁদের জন্য শিবির ইত্যাদি নির্মাণ করতে বাঁশগুলি কাজে লাগবে। তাই ওই সব পুণ্যার্থীদের জন্য সামান্য উপহার বকোর। জানান রাভা হাসং স্বাশাসিত পরিষদ (আরএইচএসি)-এর সাধারণ সদস্য তথা অসম দিব্যাঙ্গ বহুমুখী উন্নয়ন সমিতির সদস্য অর্জুন ছেত্রী।
অর্জুন ছেত্রী জানান, আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের ঐতিহাসিক উদ্বোধনের জন্য সংহতির দৃষ্টান্তস্বরূপ কামরূপ জেলার রাভা হাসং স্বশাসিত পরিষদের ২৬ নম্বর জংখুলি নির্বাচনি এলাকা এক উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। তিনি জানান, ইউপি ৭০ ইটি ২৭৫০ নম্বরের একটি কনটেইনারে সাত হাজার বাঁশ বোঝাই করে গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) অযোধ্যার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, অসম-মেঘালয় আন্তঃরাজ্য সীমান্তবর্তী লুম্পি এলাকা থেকে ওইসব বাঁশ সংগ্ৰহ করা হয়েছে। লুম্পির জনগণ স্বত্বঃস্ফূৰ্তভাবে বাঁশ সংগ্রহ করতে তাদের শারীরিক শ্রম দিয়েছেন। লুম্পি গ্ৰাম থেকে কয়েকটি মাহিন্দ্রা পিকআপ ভ্যানে করে জোঙাখুলি কাছারিপাড়া খেলার মাঠে নিয়ে জড়ো করা হয়েছিল। তার পর কন্টেইনারে বোঝাই করে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।
রাভা হাসং স্বাশাসিত পরিষদ (আরএইচএসি)-এর সাধারণ সদস্য বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। কেননা, আমরা বৃহত্তর বকোর চিরসবুজ লুম্পি এলাকা থেকে প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার দূরে অযোধ্যার রামমন্দিরে বাঁশ পাঠানোর সুযোগ পেয়েছি।’ তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য রামমন্দিরের তাত্পর্য ব্যাখ্যা করে এর সঙ্গে জড়িত সকলের সহযোগিতার প্রত্যাশা করেছেন।
অসম দিব্যাঙ্গ বহুমুখী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক জিল চৌধুরী তাঁদের এই প্রয়াসে প্রতিবন্ধীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা তুলে ধরেন। বলেন, ‘অসমের প্রতিবন্ধীরা উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, অসমের বিব্যাঙ্গ সমাজ পাহাড়ি লুম্পি এলাকা থেকে দশ দিন বাঁশ সংগ্রহ করেছেন।