করিমগঞ্জের চেরাগিতে প্রকাশ্যে গো-হত্যাত করে মাংস বিক্রি, আটক এক

করিমগঞ্জ, ২২ এপ্রিল : ঐতিহ্যমণ্ডিত মন্দিরের এক কিলোমিটারের মধ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে গো-হত্যা! পাথারকান্দি পুলিশ আটক করেছে জনৈক গো-মাংস ব্যবসায়ীকে।
অসমে গো-হত্যা পুরো নিষিদ্ধ থাকলেও করিমগঞ্জের বারইগ্রাম রাধারমণ আশ্রম, কানাইলালজিউ আশ্রম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চেরাগিতে গরু জবাই করে প্রকাশ্যে গো মাংস বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ পাথারকান্দি প্ৰখণ্ড।
সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ঈদ-উল ফিতরের আগের রাতে প্রকাশ্যে গো হত্যাষ করে মাংস বিক্রির অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে চেরাগি এলাকার বাসিন্দা জনৈক মজির উদ্দিন নামের ব্যক্তি।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত মজির উদ্দিন আরও কয়জনকে সঙ্গে নিয়ে নিজের বাড়িতে একটি গরু জবাই করেছিল। পরে গরুটির মাংস বিক্রি করে সে। এক সময় ঘটনার খবর পৌঁছে যায় পাথারকান্দি প্রখণ্ড হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মকর্তাদের কাছে। পরে তাঁরা বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারের নজরে আনলে পাথারকান্দির বারইগ্রা ম ফাঁড়ির পুলিশ তদন্তে নেমে আজ শনিবার বাড়ির মালিক মজিরকে পাকড়াও করলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ শনিবার এ ব্যাপারে পাথারকান্দি থানায় লিখিত অভিযো জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির দাবি জানান হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কর্মকর্তারা।
তাঁরা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে জানান, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক বিদ্যমান মন্দির বা দেবালয় থেকে পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে গো হত্যাক নিষিদ্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে ঐতিহ্যমণ্ডিত শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামীজিউর আশ্রম এবং কানাইলাল জিউর আশ্রম। এ সব নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে গোটা এলাকার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করতে এ ধরনের কাণ্ড ঘটিয়েছে মজির উদ্দিন ও তার সাঁকরেদরা।
এদিকে পাথারকান্দি থানার ওসি ইনস্পেক্টর সমরজিত্ বসুমতারিকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, পুলিশ তদন্তে নেমে স্পর্শকাতর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এর সঙ্গে জড়িতরা কিছুতেই রেহাই পাবে না।