করিমগঞ্জে দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরি-খালাসিকে উদ্ধার বিএসএফ-এর, ভরতি করাল হাসপাতালে
করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জের সুতারকান্দি ল্যান্ডেপোর্টে সংঘটিত দুর্ঘটনায় আহত এক লরির খালাসিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করিয়েছেন বিএসএফ-এর ১৬৭ বাহিনীর জওয়ানরা।
জানা গেছে, সুতারকান্দি ল্যান্ডেপোর্টে ভারত এবং বাংলাদেশের এক লরি থেকে অন্য লরিতে সামগ্রী তুলে দিচ্ছিলেন সুতারকান্দি ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জনৈক বাদল দাসের বছর ২৭-এর ছেলে কানাই দাস নামের খালাসি।
কিন্তু আচমকা তিনি দুই লরির মাঝখানে পড়ে যান। দুই লরির মধ্যে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সুতারকান্দি গেটে কর্তব্যরত জওয়ানদের চোখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা কানাইকে উদ্ধার অভিযানে নামেন।
ল্যান্ডেপোর্টে তখন অবস্থান করছিলেন ১৬ নম্বর বাহিনীর ইন্সপেক্টর জি রঞ্জিত কুমার। বিষয়টি তিনি অবগত করেন ১৬৭ নম্বর বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডেন্ট ডিকে মিশ্রকে। খবর পেয়ে ডিকে মিশ্রও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁদের তত্ত্বাবধানে আহত খালাসিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিত্সা শেষে নিয়ে যাওয়া হয় করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে।
ডেপুটি কমাডেন্ট ডিকে মিশ্র জানান, এ ধরনের দুর্ঘটনা সুতারকান্দিতে এর আগেও ঘটেছে। সব সময় প্রথমে এগিয়ে আসেন বিএসএফ জওয়ানরা। তিনি বলেন, দেশ-সেবার দায়িত্ব তাঁদের কাঁধে। এমতাবস্থায় সীমান্ত এলাকার মানুষের সাহায্যে এগিয়ে থাকে তাঁদের বাহিনী। মিশ্র বলেন, দুর্ঘটনায় আহত কানাই দাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়েছে। প্রয়োজনে বাদবাকি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে বিএসএফ।
উল্লেখ্য সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি সামাজিকতার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। এক্ষেত্রে বাড়তি প্রশংসার যোগ্য সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর ১৬ এবং ১৬৭ নম্বর ব্যাটালিয়ন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন, সীমান্ত এলাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান, স্বাধীনতা-প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনের ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে থাকে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। এ বছর সীমান্তে কর্তব্যরত ১৬ নম্বর ব্যাটালিয়নকে দেশ-সেরার স্বীকৃতি মিলেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠা দিবসে ব্যাটালিয়ন কমাডেন্ট-এর হাতে জেনারেল চৌধুরী ট্রফি তুলে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।