করিমগঞ্জে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জাতীয় ডেঙ্গু দিবস পালন
জনসংযোগ, করিমগঞ্জ : ‘সমাজের সাথে সংযোগ করুন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করুন’ ভাবনায় আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় ডেঙ্গু দিবস পালন করেছে করিমগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ। ডেঙ্গু জ্বরের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জনগণের যোগদান বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্য নিয়ে এই দিবস পালন করা হয়। এদিনের কার্যসূচি করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতাল থেকে একটি শোভাযাত্ৰার মাধ্যমে শুরু হয়।
স্বাস্থ্য যুগ্ম-অধিকর্তা ডা. সুমনা নাইডিং, সহকারী আয়ুক্ত রংবামন তেরন, অতিরিক্ত মুখ্য চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য আধিকারিক (পরিবার কল্যাণ) ডা. মতীন্দ্র সূত্রধর সহ অন্যান্য বিশিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পতাকা নেড়ে এর সূচনা করা হয়। এতে ডিস্ট্রিক্ট মিডিয়া এক্সপার্ট সুমন চৌধুরী, দেবজিৎ দে, এনভিবিডিসিপি পরামর্শদাতা এল প্রকাশ সিংহ, ডিপিসি, সুমিত রায়, এপিডেমিওলজিস্ট এবং অমিত ভুইয়াঁ, ডেটা ম্যানেজার (আইডিএসপি) প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় করিমগঞ্জ আইন মহাবিদ্যালয় এবং জিএনএম ট্রেনিং স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার সহ ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব সম্পর্কে বার্তা ছড়িয়ে শহরের মধ্য দিয়ে মিছিল করেন। শোভাযাত্রা শেষে করিমগঞ্জ আইন মহাবিদ্যালয়ে এক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জনসাধারণকে ডেঙ্গুর লক্ষণ, সংক্রমণ এবং মশার বংশবৃদ্ধি রোধে নেওয়া যেতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ সম্পর্কে অবগত করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়।
এতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা এবং জলের স্থির উৎস নির্মূল করা সম্পর্কে জানানো হয়। সভায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শিখতে এবং রোগ সম্পর্কে তাদের সন্দেহ স্পষ্ট করতে অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি ইন্টারেক্টিভ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। কেন্দ্রীয়ভাবে কার্যসূচি ছাড়াও, জাতীয় ডেঙ্গু দিবসের কার্য সচিত্র তৃণমূল স্তরে পালিত হয়েছে, যেখানে জেলা জুড়ে বিভিন্ন আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরে সকাল ১০টায় ১০ মিনিটের জন্য শুষ্ক দিবস পালন করা হয়।
করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আবেদন, এই উদ্যোগ মশার বংশবৃদ্ধি রোধে জল সংরক্ষণের পাত্র পরিষ্কার রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে সদস্যরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অঙ্গীকার করেন। করিমগঞ্জের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ ডেঙ্গু জ্বর সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নিবেদিত, জনগণের অংশগ্রহণ এবং সক্রিয় পদক্ষেপের মাধ্যমে এই প্রতিরোধযোগ্য রোগের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা যাবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ আশাবাদী।