Barak Valley

কুশিয়ারার জল ঢুকছে করিমগঞ্জ শহর এলাকায়

  • ফুঁসছে কুশিয়ারা, ভাসছে করিমগঞ্জ শহরের বহু এলাকা
  • বিপদসীমার উপরেই কুশিয়ারা ভাসল নতুন নতুন এলাকা

করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জ জেলার বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হচ্ছে৷ প্রতিদিন বন্যার জলে জেলার নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে৷ জেলার নদীগুলি বিপদসীমা অতিক্রম হয়ে গত ৩ দিন ধরে শহর ও গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল প্লাবিত করেছে৷ বুধবার রাত থেকে কুশিয়ারা নদীর জল শহরের বিভিন্ন এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করে৷ বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়৷ শহরের মদনমোহন রোড, দাসপট্টি, চরবাজার এলাকা দিয়ে নদীর জল প্রবেশ করে বেশ কিছু স্থান প্লাবিত করেছে৷ এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ ইতিমধ্যে জেলা সদরে ১০টির মতো আশ্রয় শিবির খুলে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে৷ অন্যদিকে, করিমগঞ্জ জেলার ভারত-বাংলা সীমান্তে থাকা কয়েকটি BSF camp-এ জল ঢুকে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে৷

লঙ্গাই ও সিংলা নদীর জল বৃহস্পতিবার রাতে স্থিতাবস্থায় থাকলেও কুশিয়ারা নদীর জল ক্রমশ বেড়ে চলেছে৷ বুধবার রাতে চরবাজার, দাসপট্টি এলাকা দিয়ে নদীর জল বাড়ি-ঘরে ঢুকতে শুরু করে৷ কিছু কিছু এলাকা হাঁটু জল দাঁড়িয়ে গেছে৷ নিজেদের ব্যবহার্য সামগ্রী যথাসাধ্য রক্ষা করার চেষ্টা করছেন বন্যাক্রান্তরা৷

শহরের টাউন কালীবাড়ি রোডে বিসর্জন ঘাট দিয়ে কুশিয়ারা নদীর জল প্রায় পূর্ত সড়কের কাছে এসে পৌঁছেছে৷ জলসম্পদ বিভাগের কর্তারা সেখানে বালির বস্তা দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করছেন৷ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার পার্থপ্রতিম দাস বিসর্জন ঘাটের বর্তমান পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন৷ ইতিমধ্যে মদনমোহন রোডের কয়েকটি দোকানের ভেতর জল ঢুকেছে৷ জেলাশাসক মৃদুল কুমার যাদব জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে জেলায় ১৭টির মতো আশ্রয় শিবির খুলে দেওয়া হয়েছে৷ প্রয়োজন অনুযায়ী আরও আশ্রয় শিবির খুলে দেওয়া হবে৷ জেলাবাসীকে আতঙ্কগ্রস্ত না হতে আহ্বান জানান তিনি৷

Show More

Related Articles

Back to top button