জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে করিমগঞ্জে সমাবেশ
নতুন শিক্ষানীতি ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, বিজ্ঞানভিত্তিক চরিত্রকেই ধ্বংস করেছে : সৌরভ
করিমগঞ্জ : দেশের নবজাগরণ ও স্বাধীনতা আন্দোলনের মনীষী যথাক্রমে রামমোহন, বিদ্যাসাগর, জ্যোতিপ্রসাদ, নেতাজি, ক্ষুদিরাম, ভগৎ সিং প্রমুখ দেশের ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর পক্ষে লড়াই করেছিলেন৷ কিন্তু স্বাধীন ভারতের সরকার তাঁদের চিন্তার বিপরীতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের লক্ষ্যে একের পর এক শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে৷ AIDSO-র ৭০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার করিমগঞ্জ ডাক বাংলো রোডে বরাক উপত্যকা ভিত্তিক ছাত্র সমাবেশে মুখ্য বক্তা হিসেবে এই মন্তব্য করেন সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ঘোষ৷
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি প্রজ্জল দেবের পৌরোহিত্যে সমাবেশে সৌরভ ঘোষ বলেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষার প্রাণসত্ত্বা ধ্বংসকারী জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মৃত্যু দিবসে প্রণয়ন করে৷ যা বাতিলের দাবিতে গোটা দেশে শক্তিশালী ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে সংগঠন প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছে৷
তিনি বলেন, দেশে প্রায় আড়াই লক্ষ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ একত্রীকরণের নামে স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে৷ এই শিক্ষানীতি শিক্ষার ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক চরিত্রকেই শুধু ধ্বংস করেছে তাই নয়, কর্পোরেট গোষ্ঠীর মুনাফা লুটার স্বার্থে শিক্ষার ব্যক্তিগতকরণ, বাণিজ্যিকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ ঘটানোর নক্সা রচিত হয়েছে৷ ফলে ভবিষ্যতে দরিদ্র পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে না৷ তিনি সবাইকে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবতাকে রক্ষা করতে AIDSO-কে শক্তিশালী করে তোলার আহ্বান জানান৷ রাজ্য সম্পাদক হেমন্ত পেগু অসমের শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ চিত্র তুলে ধরেন৷
শুরুতে শহিদ কনকলতার প্রতিকৃতিতে ও শহিদ বেদিতে মাল্যদান করা হয়৷ সরকারি স্কুল বন্ধের পরিকল্পনা প্রত্যাহার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে একটি প্রস্তাব সমাবেশে গৃহীত হয়৷