জাতীয় সড়কে ই-রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

করিমগঞ্জ : করিমগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে এক আদেশে করিমগঞ্জ জেলার জাতীয় সড়কে ই-রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন৷ পাশাপাশি, জেলার রাজ্য হাইওয়ে ও মুখ্য সড়কে রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ই-রিকশায় যাত্রী নিয়ে চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন৷

আদেশে বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসন লক্ষ্য করেছে যে, অধিকাংশ ই-রিকশার গ্রামীণ সড়ক থেকে ৮ নং জাতীয় সড়ক ও ৩৭ নং জাতীয় সড়ক (নতুন) সংযোগস্থল পর্যন্ত যাত্রী বহন করার লাইসেন্স রয়েছে৷ কিন্তু তারা এই শর্ত লঙ্ঘন করে জাতীয় সড়ক ও রাজ্য হাইওয়েতে ই-রিকশা চালাচ্ছে৷

পাশাপাশি আদেশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় সড়ক ও রাজ্য হাইওয়ে হচ্ছে ভারী, মাধ্যম ও ছোট যান নির্বিঘ্নে বাধাহীন ভাবে চলাচল করার জন্য৷ কিন্তু ওই সড়কে ই-রিকশা তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অত্যধিক গতিতে চলাচল করছে৷ তাই জেলার জাতীয় সড়ক ও রাজ্যিক হাইওয়েতে ই-রিকশা চলাচলের ফলে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে৷ এবং যাত্রী ও চালকরা গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন৷

এছাড়া শীতের মরশুমে ঘন কুয়াশার জন্য রাস্তা দৃশ্যমান না হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে৷

এই পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের জীবন রক্ষায় ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করিমগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারার অধীনে জারি করা এই আদেশ অনুসারে কোন ই-রিকশা জাতীয় সড়কে চালাচল করতে পারবে না৷

পাশাপাশি জেলার রাজ্য হাইওয়েগুলিতে রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে ই-রিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে৷ বেশি ওজন নিয়ে অথবা ই-রিকশার মূল কাঠামো থেকে আকার বৃদ্ধি করে চালানো যাবে না৷ যাত্রীদের ওঠা-নামার ব্যবস্থা শুধু বাম দিকে থাকতে হবে৷ পেছনে দেখার জন্য আয়না ও দু’দিকে ইন্ডিকেটর থাকতে হবে৷

আদেশে আরও বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা গুলি অমান্য করার ফলে কোনও ধরনের দুর্ঘটনা যদি ঘটে এবং জনগণের জীবন সংকটে আসে তবে ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হবে৷ তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোন জরুরীকালীন পরিস্থিতিতে নিকটবর্তী হাসপাতালে ই-রিকশা দিয়ে রোগী পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকছে৷

জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ও পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় করিমগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন৷ এই আদেশে কেউ যদি সন্তপ্ত হন তবে এর সংশোধনীর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে পারবেন৷ এই আদেশে তাৎক্ষণিকভাবে সমগ্র জেলায় বলবৎ হয়েছে এবং পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে৷