Barak ValleyAssam

পুজো মন্ডপের ব্যানার ছেঁড়ার ঘটনায় সোচ্চার মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি

করিমগঞ্জ : গুয়াহাটী মহানগর সহ ডিব্রুগড়, নগাঁও, তেজপুর বিশ্বনাথ চারিআলি- আসামের বেশ কটি পূজা মন্ডপে টাঙানো বাংলায় লেখা শারদীয় শুভেচ্ছা বা ক্লাবের নাম লেখা বেনার ছিঁড়ে ফেলে আসুর নেতা কর্মীরা । এই জঘন্য কর্মে সহযোগী ছিল’ বীর লাচিত সেনা নামে রাজের এক উগ্র জতীয়তাবাদী সংগঠন । বরাক উপত্যকা মাতৃভাষা কেন্দ্রীয় সমিতির এই কুকর্মে নিন্দা ও প্রতিবাত জানিয়ে এক প্রেস বার্তা পাঠিয়েছেন। এই গুণ্ডামির প্রতিবাত করেছিলেন কমিটির কর্মকতা রা। আসুর কমীরা এদের উপর হয়ে হেনস্তা করেছেন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবকে নে করে এমন ঘটনায় সমিতি গভীর উদ্বেখ প্রকাশ করছে। বরাক ও ব্রক্ষ্মপুত্র উপত্যকার অসমিয়া বাঙালি নিবিশেষে শুভবুদ্ধি সম্পূন্ন মানুষ প্রতিবাদ করছেন। উগ্রজাতীয়তাবাদী শক্তি সক্রিয় হয়ে বার বার অসমকে অশান্ত করে তোলে এবং বাঙালি ও অসমিয়ার ঐক্যকে বিঘ্নিত করে বিভেদের বিষ ছড়িয়ে দেয়।

পুজোর এক সপ্তাহ আগে নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী সংগঠন আলফা রাজ্যের বাঙালি- দের হুমকি দিয়ে চিঠি দেন। বরাক উপত্যকা আসাম থেকে পৃথক করার পক্ষে বিপক্ষে মতদান করার জন্য ‘৬০ দিনের বি সময়সীমা বেঁধে আলফা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে বাঙালির মধ্যে আতংক ছড়িয়ে দেন। এদিকে আসাম সরকার আচমকা দুর্গাপূজার আগে পূজোর ‘অনুমতি এদানের নামে ৩০০ টাকা কর ধার্য্য, করে দেয়। এই ধরণের ঘটনা পূর্বে কোনদিন ঘটেনি। স্বাভাবিকডাবে প্রতিবাদে সোচ্চার হয় আসামের বাঙালিরা। বাধ্য হয়ে আসাম পুলিশের মাধমে অনলাইনে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকার উক্ত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।”

এই ঘটনা পরম্পরাকে ররাক উপত্যকা মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি একই ‘ গ্রথিত বলে মনে করে। আসু বা বীর লাচিত সেনার দুষ্কৃতিদের বিরুধে সরকার বা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সরকারি তরফ থেকে কোন সর্তকতা সংগঠন দুটিকে দেওয়া হয়নি। যা কিনা বাঙালিদেরক আশস্ত করতে পারে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সুরং পুলিশমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর কোন বযান সমিতি লক্ষ্য না আসায় সমিতির ধারণাকে বদ্ধমূল করছে। এ মতাবস্থায় সমিতি পনীয় দাবি রাখছে অনতিবিলধে আসু, বীর লাচিত সেনা এবং আলফার মত সংগঠনের বিরুদ্ধে যথাযথ কড়া, পদকের গ্রহণ করার। আসামের ঐক্য সংহতি ও প্রগতির স্বার্থে উগ্রজাতীয়তাবাদী দের বাড়-বাড়ন্ত বন্ধ করতেই হবে।

Show More

Related Articles

Back to top button