বিজেপি মহিলা মোর্চার মন্ডল কমিটি গঠিত রামকৃষ্ণনগরে
রামকৃষ্ণনগর : ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় বা সংস্কৃতিতে নারীদের শক্তির মূল আধার হিসেবে গণ্য করা হয় এবং পূজিত হন৷ নারীকে নারায়ণী হিসেবে ভারতীয় সমাজ হাজার হাজার বছর থেকে মান্যতা দিয়ে আসছে৷ এমন সম্মান বিশ্বের খুব কম দেশেই রয়েছে৷ প্রচলিত প্রবাদ রয়েছে ‘শক্তি ছাড়া শিব পাথরের’৷ অর্থাৎ কতটুকু গুরুত্ব দিয়ে আসছেন পূর্বজরা৷ মুণি-ঋষির আমল থেকে নারীকে উচ্চাসনে বসিয়ে পূজার্চনা করা হচ্ছে৷ সেই ধারা এখনও অব্যাহত৷ ভবিষ্যতেও থাকবে৷ কথাগুলো বললেন, রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকার৷
শুক্রবার বিজেপি মন্ডল কার্যালয়ে মহিলা মোর্চার কার্যনির্বাহী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বিজেপি মহিলা-পুরুষদের সমান গুরুত্ব দেয়৷ যার ফলে রয়েছে অসংখ্য প্রকল্পও৷ সমাজে মহিলারা যদি পিছিয়ে পড়েন তবে এই সমাজ কখনই উন্নতি করতে পারে না৷ তাই পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পৌরসভায় ৫০% সংরক্ষণ রাখা হয়েছে৷ বিজেপি আমলেই দেশের সর্বোচ্চ পদে একজন পশ্চাৎপদ সমাজের মহিলাকে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে৷ অর্থাৎ দল খুবই যত্নবান এবং গুরুত্ব দিচ্ছে মহিলাদের অগ্রসর করার৷
তিনি বলেন, দেশের মহাকাশ গবেষণায়ও একঝাঁক মহিলা বিজ্ঞানী দেশকে উজ্জ্বল করে চলেছেন৷ সমাজের সব পেশায় মহিলারা দেশকে গর্বিত করেছেন৷ কিন্তু এখনও পিছিয়ে রয়েছেন গ্রামাঞ্চলের মহিলারা৷ ফলে দলের মহিলা মোর্চার গুরুত্ব অপরিসীম৷ ‘ঘর কন্যা’র সঙ্গে মহিলা মোর্চার দায়িত্ব রয়েছে কম পড়ুয়া গ্রামীণ মহিলাদের উন্নতির জন্য সরকার প্রদত্ত প্রকল্পগুলির সুবিধা এরা নিতে পারছেন কিনা, সেগুলি দেখভার করার; সুবিধা বঞ্চিতদের সুবিধা পাইয়ে দিতে, পারিবারিক সমস্যা থাকলে তারও সুরাহা করার৷ এসব বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে তিনি মহিলা মোর্চার নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান৷ এছাড়া সাংগঠনিক আরও বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন তিনি৷
রামকৃষ্ণনগর মন্ডল মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ঋতু সরকারের পৌরোহিত্যে সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী সীমা নন্দী, রামকৃষ্ণনগর মন্ডল সভাপতি হীরেশ বিশ্বাস, পৌরসভার চেয়ারপার্সন প্রতিমা নাথ প্রমুখ৷ সভায় বক্তারা সাংগঠনিক বিষয় ছাড়াও ভবিষ্যত কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেন৷