NationalLifestyleViral & Fact Check

বিয়ে ভাঙা মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনলেন বাবা ব্যান্ড, আতসবাজিতে শোভাযাত্রা করে

রাঁচি : চেনা স্রোতের উজানে পাড়ি দিলেন ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা প্রেম গুপ্তা। কন্যা সাক্ষীকে তিনি বরণ করে ফিরিয়ে আনলেন ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর। বর্ণময় সেই শোভাযাত্রার ভিডিও এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অভিযোগ, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতিত হতেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সহ্য করতে না পেরে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন তরুণী। ডিভোর্সের আবেদন করা হয়।

গত ১৫ অক্টোবর, নবরাত্রির প্রথম দিন প্রেম গুপ্তা বাজরা স্বরেশ্বরী নগরে তাঁর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান। সঙ্গে ছিল মিউজিক্যাল ব্যান্ড এবং আতসবাজির কারসাজি। শোভাযাত্রা করে আলোবাজনার মধ্যে বিবাহবিচ্ছিন্না কন্যাকে তিনি ফিরিয়ে আনেন।

প্রেম নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর মতে, যদি মেয়ের বিয়ে মহা সমারোহে দেওয়া যেতে পারে, তাহলে বিবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চলা মেয়েকেও সম্মান ও শ্রদ্ধা সহকারে ফিরিয়ে আনা যায় সংসারে। কারণ কন্যা সব সময়ই মূল্যবান।

গত বছর এপ্রিলে রাঁচির কুমহারটোলির বাসিন্দা প্রেম তাঁর মেয়ের বিয়ে দেন সচিন কুমারের সঙ্গে। ঝাড়খণ্ড বিজলি বিতরণ নিগম লিমিটেডের তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত সচিনকুমার। অভিযোগ বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু হয় শ্বশুরবাড়িতে।

এমনকি, তাঁর মেয়েকে বাড়ি থেকে বার করেও দিতেন প্রাক্তন স্বামী সচিন, অভিযোগ প্রেমের। এখানেই শেষ নয়। সচিনের এর আগেও আরও দু’টি বিয়ে ছিল বলে অভিযোগ। মেয়ের বিয়েতে ১৭ লক্ষ টাকা পণ দিয়েছিলেন বলে দাবি প্রেম। ওই টাকা খোরপোশ হিসেবে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রেম।

ক্যানসারজয়ী প্রেম এখনও জানেন না তাঁর মেয়ে ভবিষ্যতে কী করবেন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ”এখনও পর্যন্ত আমরা কিছুই ঠিক করিনি। কিন্তু যদি ও নতুন জীবনসঙ্গীকে নিয়ে নতুন ভাবে জীবন শুরু করতে চায়, তাহলে আমাদের থেকে খুশি আর কেউ হবে না। তাঁরা ডিভোর্সের জন্য মিউচুয়ালি সহমত হয়েছেন। রাঁচির ফ্যামিলি কোর্ট এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।” ডিভোর্সি মেয়েকে ফের পরিবারে স্বাগত জানাতে পেরে খুশি মা বীণা এবং ভাই উজ্জ্বল।

Show More

Related Articles

Back to top button