মুখ্যমন্ত্রীর সফরের প্রাক মুহূর্তে লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মান রামকৃষ্ণনগরবাসীর
রামকৃষ্ণনগর : রামকৃষ্ণনগর কলেজের আসল রূপকার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা৷ রাত পোহালেই রামকৃষ্ণনগরে ভূমিপুজোয় আসছেন৷ এর প্রাক সন্ধ্যায় বৃহস্পতিবার তাঁকে রাজসম্মান জানিয়ে লক্ষ প্রদীপ জ্বালিয়ে স্বাগত জানলেন রামকৃষ্ণনগরবাসী৷ সেই সঙ্গে আতসবাজি আর মহিলাদের উলুধ্বনি ও হিমন্ত বিশ্ব জিন্দাবাদ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা এলাকা৷ জয়ধ্বনি হয় বিজেপি সরকার সহ রাতাবাড়ির বিধায়ক বিজয় মালাকারের নামেও৷
এদিন আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই হিমন্তবিশ্বকে সম্মান জানাতে উপস্থিত হন রামকৃষ্ণনগরের খেলার মাঠে৷ সন্ধ্যা হতেই শুরু হয় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন৷ প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শুরু হয় রাতাবাড়ির বিধায়কের হাত ধরে৷
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিধায়ক বিজয় মালাকার বলেন, হিমন্ত বিশ্ব ছাড়া রামকৃষ্ণনগর মেডিক্যাল কলেজে গড়ে উঠতো না৷ তিনি নির্বাচনী জনসভায় শর্ত রেখে যে কথা দিয়েছিলেন, সেই কথা তিনি রেখেছেন৷ এর আগে অনেকেই মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে জলঘোলা করেছিলেন৷ কিন্তু সব প্রতিকূলতাকে একপাশে রেখে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তাঁর কথায় অটুট রয়েছেন৷ যার বাস্তব রূপ রাতাবাড়ি বিধানসভা৷
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, রাতাবাড়ির মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে কংগ্রেস৷ ‘সোনার রাতাবাড়ি’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে৷ মানুষের চলার উপযুক্ত সড়ক পর্যন্ত ছিল না৷ বিজেপি ক্ষমতায় ফিরেই গোটা বিধানসভার চেহারা পাল্টাতে শুরু করে৷ এখন মেডিক্যাল কলেজ হচ্ছে৷ আর ভবিষ্যতে জেলায় পরিণত হবে৷ ফলে গোটা বিধানসভার মানুষ এ মুহূর্তে আবেগিক৷ মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ৫০০০ মহিলা শঙ্খ আর উলুধ্বনির মাধ্যমে স্বাগত জানাবেন শুক্রবার৷ রাতাবাড়ির মানুষ যারা বাইরে রয়েছেন, তাঁরা মেডিক্যাল কলেজের ভূমি পূজনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে বাড়ি ফিরেছেন৷ এলাকার প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে হিমন্ত বিশ্বের গুনগান চলছে৷