Others

সম্প্রীতির নজির জামালপুরের ভাইফোঁটায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- বাংলায় বারো মাসে তেরো পার্বণ। দুর্গা পূজা, লক্ষ্মীপুজোর পর কালী পুজো।আর তারপরই ভাইফোঁটা। বোনেরা ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দে। ভাইফোঁটার দিনে জামালপুরে অন্যরকম ছবি দেখা গেলো। প্রতি বছরই মহিন্দরের তারামা ট্রাস্টের উদ্যোগে ভাইফোঁটা পালন করা হয়। আর সেখানে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত হন তারামা ট্রাস্টেরই অন্যতম সদস্য তথা জামালপুরে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত এর কর্মাধ্যক্ষ মেহমুদ খান। আর সেখানেই এক ভিন্ন ছবি ধরা পড়লো।

এখানে একসাথে বসে হিন্দু মুসলিম এবং শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা ভাইফোঁটা নিলেন। এরই সাথে এলাকার গরীব দুঃস্থ ছেলে মেয়েদের সেখানে আমন্ত্রণ করে আনা হয়। তাদের মধ্য থেকেই বোনেরা ভাইদের কপালে ফোঁটা দে। ছিল খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা। তারা মা রাষ্ট্রের কর্ণধার বাপিন ঘোষ জানান তাঁরা প্রতিবছরই ধুমধাম করে এখানে ভাইফোঁটা পালন করেন। এলাকার অনেক দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের এখানে আসে।বোনেরা ভাইদের ফোঁটা দেয় এবং তাদের জন্য খাওয় দাওয়ার ব্যাবস্থা থাকে।

তিনি বলেন উৎসবের কোন ধর্ম হয় না কোন জাত হয় না তারা সকলে মিলে একই সঙ্গে এই যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সে উৎসব ভাইফোঁটায় তারা শামিল হন। জামালপুর ব্লক তৃণমূল পার্টি অফিসেও মহাসমারোহে হলো ভাই ফোঁটা। ব্লকের ১৩ টি অঞ্চল থেকেই ঝর্ণা বেগম শেখের নেতৃত্বে গোষ্ঠীর মেয়েরা, এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক সহ অন্যান্যরা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ব্লক সভাপতি মেহমুদ খানকে ভাইফোঁটা দেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক বলেন প্রতিবছরই তাঁরা তাদের অভিভাবক, দাদা, ব্লক সভাপতি মেহমুদ খানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে ভাইফোঁটা দেন এবারও সকলে মিলে এসে ফোঁটা দিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কর্মাধক্ষ্য শিপ্রা ওঝা। পূর্ণিমা দেবী বলেন তাঁরা সকলে দাদার সকলে মঙ্গল কামনায় তার কপালে ভাই ফোঁটা দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন গোটা ব্লক কে দাদা অর্থাৎ মেহমুদ খান পরিবারের কর্তার মত আগলে রেখেছেন তাই তাকে ভাইফোঁটা দিতে পেরে তার খুব ভালো লাগছে। ভাই ফোঁটা দিয়ে প্রত্যেকটি বোন দাদার হাতে প্রীতি উপহার তুলে দেয় এবং দাদাও প্রত্যেককে প্রীতি উপহার দেন।

মেহমুদ খান বলেন এই বাংলা সম্প্রীতির বাংলা তিনি নিজে মুসলিম হয়েও একাধিক পূজা মন্ডপে যান পুজো উদ্বোধন করতে। আবার আজকের এই পবিত্র ভাইফোঁটার দিনে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে তার বোনেরা দিদিরা তাকে এসে ভাই ফোঁটা দিয়ে যান এটাই বাংলার রীতি, বাংলার ঐতিহ্য।এর জন্য তিনি অত্যন্ত গর্বিত। তিনি বলেন এদের সকলের মঙ্গল কামনা তাঁর জীবনের পথে এগিয়ে চলার পাথেয়। তিনি তাঁর সকল বোনদের মঙ্গল কামনা করেন।

Show More

Related Articles

Back to top button