Barak Valley

সুতারকান্দিতে ওয়ার্ড সদস্যার স্বামী আত্মঘাতী, চাঞ্চল্য

করিমগঞ্জ ও ফকিরাবাজার প্রতিনিধি : উত্তর করিমগঞ্জের সুতারকান্দি কুরিখালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নম্বর ওয়ার্ড সুতারকান্দির ওয়ার্ড সদস্যা প্রতিমা নমশূদ্রের প্রতিনিধি তথা স্বামী সুমন নমশূদ্রের আত্মহত্যায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে।

সুমনের স্ত্রী প্রতিমা নমশূদ্র সুতারকান্দি ওয়ার্ডের কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত সদস্যা। সুমনের আত্মহত্যার ঘটনা বিশ্বাস করতে পারছেন না এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার সকালে সুমন নমশূদ্রের বাড়ির পিছন দিকে পুকুরের পার্শ্ববর্তী একটি আমগাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। যাকে আত্মহত্যা বলে মনে করেছেন অনেকে। তবে সুমনের আত্মহত্যার কারণ কী তা নিয়ে রহস্যের দানা বেঁধেছে।

আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সি সুমন নমশূদ্র তাঁর নিজ এলাকার সামাজিক ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ওয়ার্ড সদস্যার প্রতিনিধি হিসেবে তিনি সবসময়ই গ্রামের কল্যাণে এবং মানুষের বিপদে-আপদে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেন বলে জানান এলাকাবাসী। তাঁর আকস্মিক আত্মহত্যায় পরিবারের সদস্য ও সহকর্মী সহ এলাকাবাসীকে বিস্মিত করেছে। সুমনের আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন পরিবার সহ এলাকার মানুষ।

প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা গেছে, সোমবার রাত আনুমানিক দশটার দিকে সুমন নমশূদ্র ঘরে আসছেন না দেখে পরিবারের লোকেরা ফোন করলে আশেপাশে কোথাও আছেন বলে মনে করেন। তবে রাত অনেক হয়ে গেলেও তিনি ঘরে ফেরেননি। মঙ্গলবার সাতসকালে সুমনের মৃতদেহ গাছের ডালে ঝুলে রয়েছে বলে পরিবারের সংশ্লিষ্ট একজন সদস্যের চোখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই লোকজন জড়ো হন, ছুটে আসেন সুতারকান্দি কুরিখালা গ্রাম পঞ্চায়েতের সভানেত্রীর প্রতিনিধি সেলিম উদ্দিন, কংগ্রেস কর্মী বাপ্পন নমশূদ্র সহ এলাকার কয়েক শতাধিক জনগণ। জিপি সভানেত্রীর প্রতিনিধি সঙ্গে সঙ্গে সদর পুলিশকে খবর দেন।

খবর পেয়ে তত্‍ক্ষণাত্‍ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য করিমগঞ্জ অসামরিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এদিন পুলিশ সুমনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করার পর তার দেহ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করে সুস্পষ্ট কারণ পায়নি, পায়নি কোন সুইসাইড নোটও।

Show More

Related Articles

Back to top button