আছিমগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে উন্নতমানের ধানের বীজ বিতরণ

বন্যাপীড়িত চাষিদের সমস্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল সরকার : কৃষ্ণেন্দু
পাথারকান্দি : করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকাধীন কানাইবাজারে বন্যাক্রান্ত কৃষকদের হাতে ধানের বীজ তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল।
আজ বৃহস্পতিবার করিমগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে পাথারকান্দির কানাইবাজারে রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার অধীন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উন্নত ফলনযোগ্য বিনামূল্যের ধানের বীজ বিতরণ করতে এসে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল বলেন, কৃষকরা দেশের মূল মেরুদণ্ড। তাই দেশের কৃষকদের শক্তিশালী করে তুলতে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার ব্যাপক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। একইভাবে কৃষি বিকাশ ও উন্নয়ন তথা কৃষি ক্ষেত্রকে উৎসাহিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে অসমের হিমন্তবিশ্ব শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকার।
বিধায়ক বলেন, চলতি বছরের বর্ষার শুরুতেই পর পর দুবার ভয়াবহ বন্যায় বৃহত্তর পাথারকান্দি এলাকার হাজার হাজার বিঘা চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছিল। ফলে কৃষিকাজে ব্যাঘত ঘটেছে। সময়মতো ফসল উৎপাদন করতে না পারায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন কৃষকরা। তাই অতি কম সময়ে উন্নত ফলনযোগ্য ধানেৰ বীজ রোপণ করে কৃষকরা যাতে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখতে পারেন সেই প্ৰচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
এ ব্যাপারে তিনি কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রত্যেক কৃষককে নির্দিষ্ট জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণের ফসল উৎপাদন করার আহ্বান জানান।
কৃষিকাজে বিভিন্ন কৌশল ও পদ্ধতি নিয়ে প্রাসঙ্গিক বক্তব্য পেশ করেছেন কৃষি বিভাগের রামকৃষ্ণনগর ডিভিশনের এসডিও মনোজ বৈশ্য, এডিও সলমান চৌধুরী, পিটার লতা।
পরে বিধায়ক রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনার অধীনে বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে কৃষি বিভাগের বিভিন্ন আধিকারিকদের পাশে বসিয়ে আসিমগঞ্জ, কানাইবাজার, মৈনা ও বান্দরকোণা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০-এর বেশি কৃষকের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নতমানের ধানের বীজ বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় বিশিষ্টজনের মধ্যে ছিলেন সুশান্ত সিনহা, মৈনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি শামীম আহমেদ তাপাদার, বান্দরকোণা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিত আহমেদ, মুর্তজা হোসেন, দিলোয়ার হোসেন, সাদউদ্দিন প্রমুখ।