আজ মহানবমী, উদযাপিত হচ্ছে বাংলাদেশে

ঢাকা : বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উত্সব দুর্গাপূজার সোমবার মহানবমী। নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ভক্তদের দেয়া ষোড়শ উপাচারের সঙ্গে ১০৮টি নীলপদ্মে পূজা হয়েছে দেবী দুর্গার।
নবমী বিহিত পূজা হয়েছে নীলকণ্ঠ, নীল অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে। দেবী দুর্গার কাছে নবমী পূজায় যজ্ঞের মাধ্যমে আহুতি দেয়া হয়েছে।পূজা শেষে যথারীতি অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকায় মণ্ডপে-মণ্ডপে ভক্ত দর্শনার্থীদের ঢল ছিলো চোখে পড়ার মতো। দেবীর চরণে প্রাণের অর্ঘ নিবেদনে আবাল-বৃদ্ধ বণিতা ঘুরছেন মণ্ডপে মণ্ডপে। ঢাক-ঢোল আর কাঁসার ঘণ্টার মূর্ছনা ও মাঙ্গলিক মন্ত্রোচ্চারণে সর্বত্র উত্সবের আমেজ।
এই আনন্দের মাঝে বিষাদের ছায়াও পড়েছে দেবী ভক্তদের মনে। দেবী দুর্গা আর একদিন পরেই কৈলাসে ফিরে যাবেন। দশমীর দিন করা হবে প্রতিমা বিসর্জন, অশ্রুশিক্ত চোখে ভক্তরা বিদায় দেবেন দেবী দুর্গাকে। নবমী রাতে তাই মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের ঘণ্টা বাজে।
সনাতন ধর্ম মতে, যা কিছু দুঃখ-কষ্টের বিষয়, যেমন বাধাবিঘ্ন, ভয়, দুঃখ-শোক, জ্বালা-যন্ত্রণা এসব থেকে ভক্তকে রক্ষা করেন দেবী দুর্গা। শাস্ত্রকাররা দুর্গা নামের অর্থ করেছেন “খের দ্বারা যাকে লাভ করা যায় তিনিই দুর্গা”। দেবী দুঃখ দিয়ে মানুষের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করেন। তখন মানুষ অস্থির না হয়ে তাকে ডাকলেই তিনি তার কষ্ট দূর করেন।
মহালয়াতেই দেবী আগমনের ঘণ্টা বাজে আর বিজয়া দশমী দেবী দুর্গাকে বিদায় জানানোর দিন। ভক্তদের কষ্ট দূর করতে এ বছর দেবী দুর্গা এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে। আর বিজয়া দশমীর দিনে একই বাহনে ছেড়ে যাবেন মর্ত্যলোক।