উধারবন্দ বিধানসভার জয়পুর মণ্ডলের অন্তর্গত সুভাষনগরে অনুষ্ঠিত মাইনোরিটি মোর্চার কার্যনির্বাহী সভা

শুভ্রজীত আচার্যী, জয়পুর : আজ উধারবন্দ বিধানসভার জয়পুর মণ্ডলের অন্তর্গত সুভাষনগরে অনুষ্ঠিত হয় মাইনোরিটি মোর্চার দ্বীতিয় কার্যনির্বাহী সভা।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যিক মাইনোরিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সাথে ছিলেন মাইনোরিটি মোর্চার জিলা সভাপতি নজরুল ইসলাম।
উক্ত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেছেন যে মাইনোরিটি সমাজ গান্ধী পরিবারের কংগ্রেস দল ও বদর উদ্দিন আজমলের ইউডিএফ দলের পক্ষে দীর্ঘ দিন ধরে ভোট দিয়ে গেছেন কিন্তু উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলে মাইনোরিটি এলাকা গুলোই পিছিয়ে ছিল।
২০১৪ সনে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার ও ২০১৬ সনে রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর থেকে এই পিছিয়ে পড়া অঞ্চল গুলোতে উন্নয়নমূলক কাজের যেন জোয়ার এসেছে। বর্তমানে কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ও রাজ্যে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার রয়েছে এই সরকারের আমলে ধর্ম বা জাত দেখে নয় প্রতিটি মানুষের অর্থনৈতিক পরিস্হিতির উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করেই সরকারের প্রতিটি সুবিধা কোন উৎকোচ ছাড়াই বন্টন হচ্ছে।
সুভাষনগরের মাইনোরিটি অধ্যুষিত ছাত্রদয়াল এলাকার মানুষ হয়তো কখনোই ভাবেন নি যে তাদের ঘরের পাশে পি.এইচ.ই হবে আর বিশুদ্ধ জল প্রতিটি ঘরে পৌঁছবে তবে বর্তমান বিধায়ক মিহির কান্তি সোম ও স্হানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রচেষ্টায় তা এখন প্রতিটি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। অরুণউদয়, বৃদ্ধভাতা, উজ্জ্বলা যোজনার অধীনে রন্ধন গ্যাস, বিনে পয়সায় চাল, প্রধানমন্ত্রী আবাস, অটল অমৃত ও আইয়ুষ্মান স্বাস্হ্য বিমা রাস্তা, পানীয় জল ইত্যাদি সমান ভাবে প্রতিটি সুবিধার লাভ নিচ্ছে মাইনোরিটি সমাজ । তিনি মাইনোরিটি সমাজের প্রতি আহ্বান জানান যাহাতে আগামী নির্বাচনে দলের পক্ষে ভোট দান করে কংগ্রেস কে তাদের সাথে করে যাওয়া প্রতারণার উপযুক্ত জবাব দেন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিজেপির জয়পুর মণ্ডল সভাপতি বিনদ শর্মা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আবিদ রাজা মজুমদার, জিলা পরিষদ সদস্য সদস্যা বিজয়েতা মাহাতো , মাইনোরিটি মোর্চার জয়পুর মণ্ডল সভাপতি মজিবুর রহমান মজুমদার সহ অন্যান্যরা।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জয়পুর মণ্ডলের সম্পাদক শভঙ্কর গোওয়ালা, যুব মোর্চা জয়পুর মণ্ডল সভাপতি আশু দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক শুভ্রজিত আচার্য্য সহ স্হানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা।আজকের অনুষ্ঠানের মধ্যে মাইনোরিটি সমাজের কিছু লোক আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজেপিতে যোগ দেন এবং তাদের হাতে দলীয় পতাকা তোলে দেন উপস্থিত দলীয় পদাধিকারী গন।