করিমগঞ্জে বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত

করিমগঞ্জ, ৬ এপ্রিল : করিমগঞ্জের পাঁচটি বিধানসভার বুথ ও মণ্ডল এবং জেলা কমিটি পৃথক পৃথকভাবে নানা কার্যসূচির মাধ্যমে বিজেপির ৪৪-তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়েছে। দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে জেলা বিজেপির সদর কার্যালয়ে দিনভর কার্যসূচির শুভারম্ভ করেন জেলা বিজেপির সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য।
দলের ৪৪-তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আজ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিজেপি সমগ্র দেশে ”সামাজিক ন্যায় সপ্তাহ” পালন করছে। এ উপলক্ষ্যে সমগ্র দেশে দলীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি বেশকিছু সামাজিক কার্যসূচি পালন করবে দল। করিমগঞ্জ জেলা বিজেপিও দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বেশ কিছু কার্যসূচি হাতে নিয়েছে। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে গতকাল বুধবার জেলার বিভিন্ন বুথে বৃক্ষ রোপণ সহ সাফাই কর্মসূচির মাধ্যমে ”সামাজিক ন্যায় সপ্তাহ” পালনের সূচনা হয়।
প্রতিষ্টা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটায় পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা স্তর পর্যন্ত দলীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, বুথ সভাপতি, দলের বিভিন্ন স্তরের কার্যকর্তা ও সদস্যদের ঘরে ঘরে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল পৌনে নয়টায় দলের জেলা সদর কার্যালয় সহ সকল স্তরের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরবর্তী কার্যসূচি অনুযায়ী বুথ স্তর থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত সভা-সমিতি অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট নাগরিকদের আমন্ত্রণ করে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বুথ পর্যায়ে ৫ জন, মণ্ডল পর্যায়ে ১০ জন এবং জেলা পর্যায়ে ন্যূনতম ২৫ জন বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সংবর্ধিত করা হয়েছে। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ”সামাজিক ন্যায় সপ্তাহ” পালন কার্যসূচির মধ্যে রয়েছে চিকিত্সা শিবির, রোজগার পরামর্শ শিবির, স্বচ্ছতা অভিযান, তফশিলি জাতি মহিলাদের সঙ্গে দলীয় কার্যকর্তাদের ভোজন, বিল জলাশয় পরিষ্কার করার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণ প্রভৃতি।
বৃহস্পতিবার জেলা বিজেপি কার্যালয়ে জেলা সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ভারতের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে শুধু বিজেপি নয় গোটা বিশ্বের দরবারে ভারতকে এক বিশেষ স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।
বরিষ্ঠ নেতা এএসটিসি চেয়ারম্যান মিশনরঞ্জন দাস বলেন, ১৯৮০ সালের আজকের দিনে বিজেপি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছিল। আজকের দিনটি দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী সমর্থকদের কাছে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন বিধায়ক ড. সুখেন্দুশেখর দত্ত সহ অন্যরা।