Barak Valley

পুজোর আবহে জোরদার প্রস্তুতি করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে

করিমগঞ্জ : দেবী দুর্গাকে আবাহন করতে তৈরি করিমগঞ্জ৷ ডাইরেক্টরি পঞ্জিকা মতে এবার প্রতিদিনই শেষ রাতে পুজো৷ পুষ্পাঞ্জলি প্রদানও একদম কাকভোরে৷ এ নিয়ে পুজো আয়োজক ও ভক্তরা অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন৷ তবে রামকৃষ্ণ মিশনে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে পুজো হবে৷ পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হবে প্রতিদিন সকাল ৯টায়৷

মঙ্গলবার থেকে পুজো শুরু হতে চলেছে মিশনে৷ এ নিয়ে সেজে উঠেছে মিশন প্রাঙ্গণ৷ গোটা মিশন জুড়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে৷ প্রতিবারের মতো এ বারও এক কাঠামোর মূর্তি গড়া হয়েছে৷ মূর্তি তৈরী করেছেন নিমু পাল৷ মিশন প্রাঙ্গণেই মূর্তি গড়েছেন তিনি৷ বর্তমানে পুজোর তদারকিতে ব্যস্ত মিশনের সম্পাদক প্রভাসানন্দ মহারাজ৷ বিশ্রাম নেওয়ার ফুসরত নেই তাঁর৷ ঠায় দাঁড়িয়ে পুজোর প্রস্তুতি দেখছেন৷ এরমধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের কাজও চলছে জোর গতিতে৷ সেই কাজেও নজর রাখতে হচ্ছে তাঁর৷

এই ব্যস্ততার মধ্যে মহারাজ বলেন, মিশনের পুজো অনুষ্ঠিত হবে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে৷ এতে তাড়াহুড়োর কিছুই নেই৷ সপ্তমী থেকে নবমী তিনদিনই অনুষ্ঠিত হবে পুজো৷ তবে তিথি স্বল্পতার জন্য নবমীর পুজো ভোর থেকে শুরু হবে৷ নবমীর তিথিতে সকাল ৮:৩০টা থেকে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করা হবে৷ আর বাকি দু’দিন সকাল ৯টায়৷

যেহেতু ডাইরেক্টরি পঞ্জিকা মতে পুজো কাকভোরে সমাপ্ত হবে৷ তাই বারোয়ারি মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি প্রদানের জন্য ভক্ত সমাগম তেমন হওয়ার কথা নয়৷ এ অবস্থায় পুষ্পাঞ্জলি প্রদানে এবার বাড়তি ভক্ত সমাগম হবে মিশনে৷

এ নিয়ে প্রভাসানন্দ মহারাজ বলেন, আমরা তৈরি রয়েছি৷ মঙ্গলবার থেকেই মন্দিরে পুজো শুরু হয়ে যাবে৷ এদিন বিকেলে দেবীর বোধন হবে৷ বুধবার বিকেল ৫:৩০টা থেকে ষষ্ঠী পুজো৷ প্রতিদিন পুজো শুরু হবে ভোর ৫:৩০টা থেকে৷ অষ্টমীর দিন দুপুর ১১:৪৫ থেকে শুরু হবে সন্ধিপুজো৷ আর রবিবার দুপুর ২টায় দেবীর প্রতিমা নিরঞ্জন হবে৷ পুজোর ৩ দিনই ৫০০+ ভক্ত পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করবেন৷

মিশনে ভিড় নিয়ন্ত্রণে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে৷ মূল গেট দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করবেন ভক্তরা৷ এপরর হাতে হাতে প্রসাদ নিয়ে মিশন রোডের দিকের গেট দিয়ে বেরিয়ে যাবেন৷ বসার ব্যবস্থাও রয়েছে৷ পুজোর ৩ দিনই সকাল ১১টা থেকে মহাপ্রসাদ বিতরণ করা হবে৷ লাইনে দাঁড়িয়ে প্রসাদ নিয়ে ভক্তরা বেরিয়ে যাবেন৷ এতে মিশন প্রাঙ্গণে ভিড়ও হবে না৷ পুজোর ৩ দিন প্রায় ১৫ হাজার ভক্তের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান প্রভাসানন্দ মহারাজ৷

Show More

Related Articles

Back to top button