Barak Valley

বেহাল শ্মশানকে নতুন রূপ দিতে ময়দানে করিমগঞ্জের উপপৌরপতি

করিমগঞ্জ : ব্রজেন্দ্র রোড শ্মশানকে আবর্জনা মুক্ত এবং নোংরা পুস্করিণী পরিচ্ছন্ন করতে এবার মাঠে নামলেন করিমগঞ্জ পৌরসভার উপপৌরপতি সুখেন্দু দাস৷ শুক্রবার ওয়ার্ডের পৌরকমিশনার শুভ্রকান্তি দাস পুরকায়স্থকে সঙ্গে নিয়ে সবকিছুর তদারকি করেন তিনি৷

শহরের একমাত্র সরকারি শ্মশান ব্রজেন্দ্র রোডের শ্মশান ঘাট বাস্তবে বেহাল৷ শ্মশানে মৃতদেহ সৎকার করতে এসে শব নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় জনগণকে৷ শ্মশানের চুল্লিগুলি যেমন বেহাল অবস্থায় রয়েছে তেমনি শবদেহের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে এসে চরম হেনস্তার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷ শ্মশানে যেমন নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, তেমনি নেই জলের সুব্যবস্থা৷ শ্মশান ঘাটে থাকা পুকুরটি সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে৷ এর জল তো ব্যবহারেরও অযোগ্য৷ কেয়ারটেকার না থাকায় রাতে ওই শ্মশানে চলে মদ্যপদের দাপট৷

জ্বলে যাওয়া কাঠের টুকরো সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামান্য একটি কোঁদাল পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না৷ শবদাহ করতে আসা লোকজনদের জন্য বসার ব্যবস্থা থাকলেও সংস্কারের অভাবে একেবারেই বেহাল অবস্থায় পরে রয়েছে স্থায়ী বেঞ্চগুলো৷ শবদাহের পর জ্বলন্ত কাঠের টুকরো যথাস্থানে পরে থাকায় একেবারেই নোংরা পরিবেশ শ্মশান চত্বরে৷ নালাগুলোতে নোংরা জল জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও নূন্যতম কথা বলার লোক পাওয়া যায় না৷

এছাড়াও শ্মশানের নোংরা পরিবেশের কারণে আশপাশের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, মন্দির ও সাধারণ মানুষ প্রভাবিত হচ্ছেন৷

সরকারি অর্থ ব্যায়ে, ব্যাপক প্রচারে বরাকের প্রথম ইলেকট্রিক চুল্লি (পড়ুন বর্তমানে বিকল) বসানো সহ ঘর তৈরিতে (পড়ুন বর্তমানে পরিত্যক্ত) কয়েক লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও যত্ন নেওয়ার যেন খেয়াল নেই৷ নষ্ট ইলেকট্রিক চুল্লি সারানোর জন্য সুদুর বিহার থেকে কর্মী এলে বর্তমানে যেই কে সেই৷ বর্তমানে বন্ধ ঘরে এটি শহরের শোভাবর্ধন করছে!

সাময়িকভাবে শ্মশানকে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা নেয় করিমগঞ্জ পৌরসভা৷ পৌরপতি রবীন্দ্র দেব ও উপপৌরপতি সুখেন্দু দাস মাঠে নামেন৷ শুক্রবার ওয়ার্ডের পৌরকমিশনার শুভ্রকান্তি দাসপুরকায়স্থকে সঙ্গে নিয়ে ব্রজেন্দ্র রোড শ্মশান পরিদর্শন করেন৷ শ্মশানের পুকুরের জল পরিষ্কার ও আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ করা হবে৷ পুকুরের জল ব্যবহারের উপযোগী করার পাশাপাশি মৎস্যচাষের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান পৌরকমিশনার শুভ্রকান্তি দাসপুরকায়স্থ৷

অন্যদিকে, উপপৌরপতি সুখেন্দু দাস জানান, ব্রজেন্দ্র রোডের শ্মশানঘাটের উন্নতিকল্পে ৩৪ লক্ষ এবং সুভাষনগর শ্মশানঘাটের আধুনিকরণের জন্য ১৬ লক্ষ টাকা প্ল্যান এস্টিমেট তৈরী করা হয়েছে৷ এবং এই প্ল্যান এস্টিমেট রাজ্য সরকারের শহর ও নগর উন্নয়ন বিভাগের কাছে পাঠানো হয়েছে৷ প্রাথমিকভাবে ৫০ লক্ষ টাকা মঞ্জুর হলেই কাজ শুরু হবে বলে জানান উপপৌরপতি সুখেন্দু দাস৷ অন্যদিকে, কাজে কোন দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন পৌর কমিশনার শুভ্রকান্তি দাস পুরকায়স্থ৷

Show More

Related Articles

Back to top button