অসমের চুড়াইবাড়িতে উদ্ধার আরও ছয় লক্ষাধিক টাকার কফ সিরাপ, বাজেয়াপ্ত কন্টেইনার, গ্রেফতার দুই

বাজারিছড়া, ৯ মে : ত্রিপুরায় প্রবেশের পথে অসমের চুড়াইবাড়িতে পুলিশি অভিযানে ফের বাজেয়াপ্ত হয়েছে নেশার কফ সিরাপ। এর সঙ্গে দুই পাচারকারীকে গ্রেফতারের পাশাপাপশি বায়েজাপ্ত করা হয়েছে কফ সিরাপ বোঝাই কন্টেইনার। গ্রেফতারকৃত দুজনকে উত্তর ত্রিপুরার কদমতলার বাসিন্দা কন্টেইনারের চালক অজিত নাথ এবং অসমের কাছাড় জেলার কাটিগড়ার বাসিন্দা সহচালক আবু কমির উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্তকৃত কফ সিরাপগুলির বাজারমূল্য ছয় লক্ষ টাকার বেশি হবে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
চুড়াইবাড়ি পুলিশ ওয়াচ পোস্টের নবাগত ইনচার্জ এসআই প্রণব মিলি জানান, সোমবার গভীর রাতে এএস ০১ কেসি ৪৩৫৫ নম্বরের একটি ছয় চাকার সামগ্রী বোঝাই কন্টেইনার (ট্রাক) গুয়াহাটি থেকে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ত্রিপুরায় প্রবেশের মুখে আন্তঃরাজ্য সীমান্তে ট্রাকটিকে আটক করে তাতে তালাশি চালিয়ে আট কার্টুনে মোট ৬৪০ শিশি অবৈধ নেশাজাতীয় কফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হয়। কালোবাজারে এগুলির মূল্য ছয় লক্ষাধিক টাকা হবে, জানান পুলিশ অফিসার মিলি।
তিনি জানান, অবৈধ কফ সিরাপ পাচারের অভিযোগে উত্তর ত্রিপুরার কদমতলার বাসিন্দা ট্রাক চালক অজিত নাথ এবং অসমের কাছাড় জেলার কাটিগড়ার বাসিন্দা সহচালক আবু কমির উদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে প্রদত্ত স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ধৃত উভয়ের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মাদক আইনের সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গত শনিবার মধ্যরাতে উত্তরপ্রদেশ থেকে অসমের ৮ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে ত্রিপুরায় পাচারের পথে করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বাজারিছড়া থানাধীন অসম-ত্রিপুরা আন্তঃরাজ্য সীমান্তবর্তী চুড়াইবাড়িতে ধরা পড়েছিল প্রায় দু কোটি টাকার নেশার কফ সিরাপ বোঝাই ছয় চাকার একটি লরি।
নেশাদ্রব্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে গাড়ির চালক ও সহ-চালককে। ধৃতদের যথাক্রমে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের কাঁথরোড সিভিল লাইনের জনৈক রাকেশ শর্মার ছেলে মায়ঙ্ক শর্মা এবং প্রয়াত হাবিব মিয়াঁর ছেলে বিশাল মিয়াঁ বলে পরিচয় পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে করিমগঞ্জের বিচারবিভাগীয় আদালতের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।