Barak Valley

মহাষ্টমীতে করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে ভক্তের ঢল

করিমগঞ্জ : মহাষ্টমীতে করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে ভক্তের ঢল নেমেছে। শহরে বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজো থাকলেও সবার কাথে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু রামকৃষ্ণ মিশন। আনন্দোৎসব বলতে মায়ের আবির্ভাব উপলব্ধি এখানের আনন্দ। মৃণ্ময়ী মা সন্ন্যাসী ও ভক্তদের ভাবে হয়ে ওঠেন চিন্ময়ী। ভক্তিভাবই এই পূজার মূল মন্ত্র। রাজসিক, তামসিক, আলোর ঝলকানি, আধুনিকতাকে দূরে রেখে সাত্ত্বিকতাকে প্রাধান্য দিয়ে এবারও বৈদিক এবং তন্ত্র, মিশ্র বিধি অনুসারে করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে পূজিতা হচ্ছেন দেবী দুর্গা।

মায়ের পুজোর সমস্ত নিয়মকানুন বেলুড় মঠের নিয়মেই হয়। বেলুড় মঠের মতো এখানেও সংকল্প করা হয় সারদা মায়ের নামে। তত্ত্বাবধানে রয়েছেন করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী প্রভাসানন্দজি মহারাজ। মহোৎসবের সময় এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে নারায়ণকে। শহরের টাউন কালীবাড়ির শালগ্রাম শিলা পূজিত হচ্ছেন দেবীর সঙ্গে। তবে মা দুর্গাকে আমিষ ভোগ প্রদান করা হলেও নারায়ণ ঠাকুরকে নিরামিষ ভোগ নিবেদন করা হয়ে থাকে পুজোর কয়দিন। ভক্তদের মধ্যে পুরুষ, মহিলা মিলে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছেন এবারের পুজোয়।

বোধনের দিন থেকে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশনে। মহাষ্টমীতে যেন জনজোয়ার। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মহারাজগণ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের।

করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী প্রভাসানন্দজি মহারাজ বলেছেন, সাত্ত্বিকতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে আশ্রমের দুর্গাপূজায়। তিনি বলেন, পূজার কয়দিন ৩০ হাজারের বেশি ভক্ত সমাগম হবে। অঞ্জলি প্রদানের পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভক্তদের মধ্যে ফল, মিষ্টি, মিষ্টান্ন সহ মহাপ্রসাদ ক্রমান্বয়ে বিতরণ করা হয় এবং হবে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ঐতিহ্যের আরেক নাম রামকৃষ্ণ মিশন৷ স্বাস্থ্য পরিষেবা, শিক্ষা, ত্রাণ, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনে এই প্রতিষ্ঠান অদ্বিতীয়। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, সারদা দেবী, স্বামী বিবেকানন্দের জন্মতিথি, বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন করে থাকে করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন। করিমগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন স্থাপিত হয়েছে ১০৮ বছর আগে। দীর্ঘ প্রায় ৭৩ বছর থেকে এখানে পূজিতা হচ্ছেন দেবী দুর্গা মা। প্রতিবারের মতো এবারও আয়োজনে কোনও খামতি রাখা হয়নি।

Show More

Related Articles

Back to top button