Barak Valley

সংস্কারবিহীন শ্মশানঘাটকে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগ করিমগঞ্জ প্রশাসনের

করিমগঞ্জ : গুয়াহাটির ভূতনাথ, হোজাইর শান্তিবন সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শ্মশানঘাট পর্যটন কেন্দ্র হয়ে আছে অনেক আগেই৷ শ্মশানঘাটকে সাজিয়ে দায়িত্ব প্রাপ্তরা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন৷ যেখানে অবসর সময় কাটান বৃদ্ধরা, বিনোদনে মেতে উঠে শিশুরা৷ কিন্তু বরাকের প্রান্তিক শহরের সরকারি শ্মশান দেখলে চোখ কপালে উঠবে সবার৷

বর্তমানে মান্ধাতা আমলের তৈরি হওয়া ব্রজেন্দ্ররোডের শ্মশানের দুটি চুল্লি ভেঙে প্রায় চুরমার হয়ে গেছে৷ বাধ্য হয়ে ভগ্নপ্রায় সেই চুল্লি দিয়েই কোনও রকমে শবদাহ প্রক্রিয়া চলছে দীর্ঘদিন থেকে৷ দিনের বেলা কোনওরকম শবদাহ কার্য সম্পন্ন হলেও রাতের বেলায় একপ্রকার অন্ধকারের মধ্যেই শবদাহ করতে হয়৷ নেই কোনো কেয়ারটেকার৷ জ্বলে যাওয়া কাঠের টুকরো সরিয়ে নেওয়ার জন্য সামান্য একটি কোঁদাল পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় না৷ শবদাহ করতে আসা লোকজনদের জন্য বসার ব্যবস্থা থাকলেও সংস্কারের অভাবে একেবারেই বেহাল অবস্থায় পরে রয়েছে স্থায়ী বেঞ্চগুলো৷ শবদাহের পর জ্বলন্ত কাঠের টুকরো যথাস্থানে পরে থাকায় একেবারেই নোংরা পরিবেশ শ্মশান চত্বরে৷ নালাগুলোতে নোংরা জল জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হলেও নূন্যতম কথা বলার লোক পাওয়া যায় না৷

সরকারি অর্থ ব্যায়ে, ব্যাপক প্রচারে বরাকের প্রথম ইলেকট্রিক চুল্লি (পড়ুন বর্তমানে বিকল) বসানো সহ ঘর তৈরিতে (পড়ুন বর্তমানে পরিত্যক্ত) কয়েক লক্ষাধিক টাকা খরচ হলেও যত্ন নেওয়ার যেন খেয়াল নেই৷

শ্মশানে যেমন নেই পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, তেমনি নেই পানীয় জলের সুবন্দোবস্ত৷ শ্মশানের ভেতর একটি পুকুর থাকলেও স্তূপাকৃতি আবর্জনা, কচুরিপানায় এটির জল ব্যবহারের অনুপযোগী৷ দেখাশোনার জন্য কেয়ারটেকার না থাকায় রাতে শ্মশান হয়ে উঠে মদ্যপায়ীদের আড্ডা স্থল৷

Note: Panchajanya Roy.

নষ্ট ইলেকট্রিক চুল্লি সারানোর জন্য সুদুর বিহার থেকে কর্মী এলে বর্তমানে যেই কে সেই৷ বর্তমানে বন্ধ ঘরে এটি শহরের শোভাবর্ধন করছে!

তবে কিছুটা আশ্বস্ত হওয়া গেল উপ-পৌরপতির কথা শুনে৷ শ্মশানকে সাজাতে ৩৫ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে৷ প্ল্যান-এস্টিমেট করে দিসপুরে নগরোন্নয়ন কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে৷ অর্থের অনুমোদন এলে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জানান উপ-পৌরপতি সুখেন্দু দাস৷ অন্যদিকে, কাজে কোন দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়েছেন পৌর কমিশনার শুভ্রকান্তি দাস পুরকায়স্থ৷

Show More

Related Articles

Back to top button