Barak Valley

আসামে ডিটেনশন ক্যাম্পে বাঙালির যন্ত্রণা

শিলচর: স্বাধীনতার পর থেকেই বাঙালিরা আসামে উগ্র অসমিয়া জাতিয়তাবাদীদের বিদ্বেষ,নিগ্রহ এবং বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে।আসামে বাঙালি মানেই বাংলাদেশী, বাঙালি মানেই ‘ঘুষপেটিয়া’ বাঙালি মানেই ‘ উইপোকা ‘ – এরকম একটি ধারণা রাজনৈতিক স্বার্থে দল নির্বিশেষে দিশপুরের শাসকরা সাধারন্যে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।

আসাম ভারতের একমাত্র রাজ্য যেখানে বাঙালিদের ‘ ডাউটফুল ভোটার’ বা ‘ডি ভোটার’ নোটিশ দেওয়া হয়, সন্দেহজনক বিদেশি বলে তাদের ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ নামক জেলখানায় আটকে রাখা হয়।

তবে তথ্য হচ্ছে আসামে গত ৭ বছরের বিজেপি শাসনে ‘ডি নোটিশ ‘ দেওয়া হয়েছে ৭১ হাজার বাঙালিকে, বিদেশি ঘোষণা করা হয়েছে ৩৭ হাজারকে আর বহিস্কৃত করা হয়েছে মাত্র একজনকে।

এরমধ্যে যাদের বিদেশি ঘোষণা করা হয়েছে তাঁরা যদি বাংলাদেশ থেকে এসেই থাকেন তবে কুটনৈতিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে কি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যেত না ? আসলে এরা কেউই বিদেশি নন ,দরিদ্র , প্রান্তিক ও অধিকাংশ অশিক্ষিত শ্রেণীর এসব বাঙালির কাছে নাগরিকত্ব প্রমানের যথার্থ নথিপত্র নেই। তাই এদের আটকে রাখা হচ্ছে ডিটেনশন ক্যাম্পে।

ডিটেনশন ক্যাম্পের নরক যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন বরাক উপত্যকার অর্জুন নমসূদ্র। এর পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিলচরে জনসভায় এসে ঘোষণা করেছিলেন যে তাঁদের সরকার ক্ষমতায় এলে আসামের সব ডিটেনশন ক্যাম্প ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।

সেই আশায় ভোট দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ও বসিয়েছিলেন আসাম তথা বরাক উপত্যকার বাঙালি হিন্দুরা। কিন্তু ডিটেনশন ক্যাম্প ভাঙা তো দুরস্থান সেই নির্বাচিত সরকারের কার্যকালের পাঁচ বছরের মাথায় কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদানে আসামের গোয়ালপাড়ায় তৈরি হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম ডিটেনশন ক্যাম্প,যেখানে নির্বিচারে আটকে রাখা হচ্ছে হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে রাজ্যের বাঙালিদেরকে।

আসামে বিদেশি শনাক্তকরণের জন্য ২০১৩ সালে শুরু হল ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন সংক্ষেপে এন আর সি প্রক্রিয়া। রাজ্যের বাঙালিরা প্রচুর কষ্ট করে,আর্থিক মানসিক ক্ষতি স্বীকার করে সেই প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেন বিদেশি তকমা ঘোছানোর জন্য।

কিন্তু চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশের পর শনাক্ত বিদেশির সংখ্যা নগন্য হওয়ায় সেই প্রক্রিয়াকে মাঝপথে আটকে দেওয়া হল। সরকারি কোষাগারের ব্যায় হল ১৬০০ কোটি,যার অর্ধেক তত্‍কালীন এন আর সি সমন্বয়কর্তা প্রতীক হাজেলা নয়ছয় করে মধ্যপ্রদেশে বদলি নিয়ে চলে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফলতঃ ১৯ লক্ষ বাঙালির নাগরিকত্ব বর্তমানেও ঝুলন্ত। এদের আধার কার্ড আটকে রাখা হয়েছে যেজন্য সরকারি কোন অনুদান, সরকারি চাকরি ইত্যাদি থেকে তারা বঞ্চিত , আগামীতে ভোট দিতে পারবেন কিনা তাও অনিশ্চিত।

এরপর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের গাজর দেখিয়ে আবার আসামের নিপীড়িত বাঙালি হিন্দুদের ভোট হাসিল করল বিজেপি সরকার।

কিন্তু সংসদের উভয় কক্ষে মান্যতা সহ রাস্ট্রপতির অনুমোদন এবং প্রধানমন্ত্রীর বারবার প্রতিশ্রুতির পরও সেই বিলের বাস্তবায়ন হলনা আসামে। দেশভাগের শিকার ,ডি সমস্যায় জর্জরিত আসামের বাঙালির শেষ ভরসা এভাবেই তামাদি হল।

আসামে সরকারি চাকরিতে বাঙালিরা অপাংক্তেয়। নিম্নবর্গের পদে শেষ এক লক্ষ নিয়োগে জনসংখ্যার অনুপাতে যেখানে অন্তত ১৫০০০ বাঙালির চাকরি হওয়ার কথা,সরকারি পক্ষপাতের শিকার হয়ে সেখানে একহাজার বাঙালিরও চাকরি জোটেনি।

চলে আসি বরাক উপত্যকার কথায়। বরাক নদীর পারে অবস্থিত কাছাড়, করিমগঞ্জ,হাইলাকান্দি এই তিন জেলার সমষ্ঠি বরাক উপত্যকাকে ১৮৭৪ সালে প্রশাসনিক স্বার্থে বঙ্গদেশ থেকে বিযুক্ত করে আসামের সাথে জুড়ে দিয়েছিল বৃটিশ শাসকরা।

বর্তমান প্রায় ৪২ লক্ষ জনসংখ্যার এই উপত্যকার ৮৫ শতাংশই বঙ্গভাষী। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে বরাকের প্রার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে বলে বনধ ডেকেছিল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। জনগনের স্বতস্ফুর্ত সমর্থনে সেই’বনধ’ একশ শতাংশ সফল হবার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় হিমন্ত বিশ্বশর্মা শিলচর এসে বললেন যে মোটেই বঞ্চনা হচ্ছে না।

বরাকের কুড়ি শতাংশ প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কদিন আগে বিধানসভায় করিমগঞ্জ সমষ্ঠির বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের জবাবে যে তথ্য সরকারি তরফে পেশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বরাক থেকে উত্তীর্ণের সংখ্যা নগন্য ১.৫ শতাংশ।

এইভাবেই মিথ্যাচার, বঞ্চনা ও বৈষম্যের শিকার বরাক উপত্যকার জনগন। ১৯৬১ সালে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলার পরিবর্তে অসমিয়াকে জোর করে চাপিয়ে দেবার প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন হয় বরাকে যারজন্য শহিদ হোন এগারোজন। অনেক অনুরোধ ,উপরোধ স্বত্ত্বেও আজো এই ভাষা শহিদদের সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি।

অথচ আশির দশকের কুখ্যাত ‘ বঙাল খেদা’ বা বাঙালি বিতড়ন আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ৮০০ জনকে শুধু সরকারি স্বীকৃতি নয় তাদের পরিবারকে নিয়মিত সরকারি অনুদানও দেওয়া হচ্ছে।

আসামের ২৪ লক্ষ জনসংখ্যার বোড়ো জনগোষ্ঠীর ভাষাকে সরকারি সহযোগী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে বিধানসভা সহ সব সরকারি কার্যালয়ের নামফলকে অসমিয়ার সাথে বোড়ো ভাষাও ব্যাবহৃত হয়। এতে আমরা খুশি, কিন্তু বারবার দাবি জানানো স্বত্ত্বেও রাজ্যের এক কোটি বিশ লক্ষ জনসংখ্যার মাতৃভাষা বাংলার সরকারি সহযোগী ভাষার স্বীকৃতি মেলেনা।

তিন জেলায় ভাগ হওয়ার আগে গোটা বরাক উপত্যাকাই ছিল কাছাড় জেলা । ‘কাছাড় ইজ এ ক্যান্সার অফ আসাম’ এই কথাটি বারবার ব্যক্ত হয়েছে অসমিয়া বুদ্ধিজীবী এবং জাতিয়তাবাদীদের বয়ানে।

আসামের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কাছাড়ের প্রশাসনিক কেন্দ্র শিলচর শহর। আড়াই লাখ জনসংখ্যার এই শহরে বহু দশক ধরে নাগরিক পরিষেবার মান তলানিতে রয়েছে। গৌহাটিতে উড়াল সেতুর সংখ্যা ২২ হলেও আজ অব্দি শিলচরের ভাগ্যে একখানাও জোটেনি, সীমাহীন যানজট আমাদের নিত্যসঙ্গী। নালা নর্দমা মান্ধাতা আমলের।

গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় সর্বসান্ত হয়েছেন শহরের ৯০ শতাংশ মানুষ। বরাক উপত্যকায় পাচঁগ্রাম কাগজকল,চিনিকল সহ যেসব বৃহত্‍ শিল্প প্রতিষ্ঠান ছিল সরকারি অবহেলায় সব বন্ধ হয়ে পড়ে আছে৷

সংস্কার ও সরকারি উদ্যোগের অভাবে এখানকার চা শিল্প ধুঁকছে। নেই কোন স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ। এখানে রেজিস্টিকৃত বেকারের সংখ্যা পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি। শিক্ষিতের মধ্যে যাদের সঙ্গতি রয়েছে তাঁরা জীবিকার খোঁজে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছে,যাদের তা নেই তাঁরা মাস্টার্স করেও ব্যাঙ্ক ঋন নিয়ে টুকটুকি কিনে দিন‌ চালাচ্ছে।নীতি আয়োগ দ্বারা প্রকাশিত ২০২৩ এর বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক অনুযায়ী বরাক উপত্যকার স্থান আসামের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩১.৪২ শতাংশ।

নির্বাচনী কেন্দ্র পুনর্বিন্যাস বা ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া ২০০৮ সালে সারা দেশে অনুষ্ঠিত হয় ডিলিমিটেশন কমিশনের মাধ্যমে। যেহেতু আগামীতে আসামে এন আর সি প্রক্রিয়া শুরু হবার কথা ছিল তাই আসামকে এই প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখা হয়।

এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। ডিলিমিটেশন কমিশনের মতো পরিকাঠামো না থাকায় নির্বাচন আয়োগকে এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সমীক্ষা ও পরামর্শের উপর ভিত্তি করতে হয়।

এবং এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সমষ্ঠিগুলিকে যথেচ্ছ কাটাছেঁড়া করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয় এবং তাঁতে রাস্ট্রপতির শিলমোহরও নিয়ে নেওয়া হয়। আসাম চুক্তি বা এন আর সি যা করতে পারেনি ডিলিমিটেশনের এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামের ভূমিপুত্রদের সেই অধিকার সুরক্ষিত হবে – এটা ছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য।

বলা বাহুল্য এই ভূমিপুত্রের সংজ্ঞায় বাঙালিদের স্থান নেই। ডিলিমিটেশন করে ৪২ লক্ষ জনসংখ্যার বরাক উপত্যকার বিধানসভা আসন সংখ্যা ১৫ থেকে কমিয়ে ১৩ করা হল, ২৪ লক্ষ জনসংখ্যার বোড়োল্যান্ডের আসন ১২ থেকে বাড়িয়ে ১৫ করা হল।

শিলচর লোকসভা আসন সংরক্ষিত হল। বরাক বাসী তথা বাঙালিদের সীমিত রাজনৈতিক কন্ঠকে রোধ করার জন্যই এই চক্রান্ত।এই অপমানের প্রতিবাদে বরাক বনধ এর ডাক দিয়েছিল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। সমর্থন করেছিল সব বিরোধী দল ও বিভিন্ন সংগঠন। সফল বনধ পালিত হল, প্রতিবাদী মিছিল হল উপত্যকা জুড়ে। সরকার কিন্তু কিছুতেই কর্ণপাত করেনি।

বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গত দু’বছর ধরে বরাক উপত্যকার প্রতি সমস্ত বঞ্চনা, বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কর্মসূচি নিয়েছে ,সরকারকে বারবার সমাধানের জন্য আবেদন, নিবেদন জানানো হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

আমরা মনে করি এই পরিস্থিতিতে আমাদের আর আসামের সাথে থাকার কোন অর্থ হয়না। তাই ডিলিমিটেশন করে যে অপমান করা হয়েছে বরাক বাসীকে তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বরাক পৃথকীকরণের ডাক দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম বরাকের ৪২ লক্ষ জনগনের জন্য ১৩ নয় আমাদের ৬০ আসন বিশিষ্ট স্বতন্ত্র বিধানসভা চাই। বরাকের সমস্ত জনগোষ্ঠী থেকে আমরা অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। সাম্প্রতিক এক সফরে মুখ্যমন্ত্রী শিলচর এলে সাংবাদিকরা তার এই ব্যাপারে কি প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছেন যদি বরাকের সবাই পৃথকীকরণ চান তবে তাঁর তাতে আপত্তি নেই।

বরাক উপত্যকা পৃথকীকরণের আমাদের এই দাবি কিন্তু কোন অর্থেই বাঙালি রাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি নয়। বাঙালিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও এখানে রয়েছেন চা জনজাতি, ডিমাসা, মনিপুরী, বিষ্ণুপ্রিয়া,খাসি,কুকি সহ বহু জনগোষ্ঠী যাদের প্রত্যেকেই আর্থ সামাজিক ভাবে বঞ্চনার শিকার। আমাদের এই প্রস্তাবিত রাজ্য হবে প্রত্যেকটি জনগোষ্ঠীর মাতৃভাষার অধিকার সহ কৃষ্টি সংস্কৃতি ও সমন্নোয়ন সুনিশ্চিত করার অন্যতম উদ্যোগ৷

বরাক উপত্যকায় প্রাকৃতিক এবং মানবসম্পদের কিন্তু অভাব নেই। রয়েছে ১২৫ টি চা বাগান। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী সাম্প্রতিক সফরে এসে বলেছেন বরাক উপত্যকা প্রাকৃতিক গ্যাসের উপর ভাসছে। এই অফুরন্ত ভান্ডারের সদব্যাবহার হলে স্থানীয় শিল্প ও কর্মসংস্থানে যেমন জোয়ার আসবে তেমনি পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ, মায়ানমার ইত্যাদি দেশে রপ্তানীর পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ‘ এক্ট ইষ্ট’ নীতির প্রয়োগের জন্য অন্যতম সুবিধাজনক ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে এই ভূখন্ড। যথাযথ সরকারি উদ্যোগ থাকলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উত্তর পূর্বের কেন্দ্রস্থল হবে বরাক উপত্যকা।

মেধাবী উজ্জ্বল যুবক যুবতীরা এই উপত্যাকার আরেক সম্পদ যারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এসবের পরিপূর্ণ বিকাশ একমাত্র আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে।

আমরা তাই বরাক উপত্যকার পৃথকীকরণের এই দাবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।‌ বরাকের হিন্দু, মুসলমান,ডিমাসা, মনিপুরী,চা জনজাতি সহ সমস্ত গোষ্ঠী আমাদের পাশে রয়েছেন। দল নির্বিশেষে বরাকের সব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও এই ইস্যুতে আমাদের পরোক্ষ সমর্থন করেছেন।

এই নায্য দাবিকে সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য আমরা এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ সহ আপামর ভারতবাসীর কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।

Show More

Related Articles

Back to top button