Barak Valley

নবমীর রাতে ৩টি ঘর পুড়ে ছাই সুপ্রাকান্দিতে

নিলামবাজার : সোমবার রাতে গোটা করিমগঞ্জ যখন মহানবমীর আনন্দে মাতোয়ারা, ঠিক তখনই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ৩টি পরিবার৷ দমকলের ৫টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি৷ এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে দক্ষিণ করিমগঞ্জের সুপ্রাকান্দি পিননগরে৷

জানা গেছে, নবমীর রাতে সুপ্রাকান্দি পিননগরের মিটুন রায়, নিটুন রায়, মমি রায়ের পরিবারের বিষাদের ছায়া নেমে আসে৷ নবমীর আনন্দে শামিল হতে বিকেল ৪টে এই ৩টি পরিবারের লোকেরা একত্রে এ দিন গিয়েছিলেন শহরে পুজো দেখতে৷ কিন্তু শহরে ঢোকার আগেই খবর পান তাঁদের ঘরে আগুন লেগেছে৷ তড়িঘড়ি এলেও কিছুই রক্ষা করতে পারেননি তাঁরা৷ আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় ৩টি পরিবারকে৷

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লক্ষ টাকা৷ শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের৷ এদিন সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হতে দেখেন প্রতিবেশীরা৷ এছাড়াও বিকট শব্দও শোনেন৷ মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গোটা বাড়িকে ঘিরে ফেলে৷ স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন৷ খবর দেওয়া হয় নিলামবাজার দমকল বাহিনীকে৷ খবর পেয়ে করিমগঞ্জ ও নিলামবাজার থেকে দমকল বাহিনীর ৬টি গাড়ি পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ৩টি বাড়ি ছাই হয়ে যায় ৷

নিলামবাজার থানার ওসি দীপজ্যোতি মালাকার পুলিশ বাহিনী নিয়ে সেখানে পৌঁছান৷ জানা গেছে, সার্কল অফিসের পক্ষ থেকে তাদের কিছু ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছে৷

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মমি রায় জানান, বাবার মৃত্যুর পর খুব কষ্টে তাঁরা জীবন-যাপন করছিলেন৷ তাঁর ছোট এক বোন-ভাই রয়েছে৷ আগুনে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে৷ শেষ সম্বল বাবার ছবিটিও বাঁচাতেও পারেননি৷ তার এক বোনের অবস্থা তো কাঁদতে কাঁদতে সিভিলে চিকিৎসাধীন হতে হয়েছে৷

এদিকে, বুধবার ঘটনাস্থলে যান উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ৷ তিনি অসহায় পরিবারের হাতে নগদ অর্থ সহ সব ধরনের আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন৷

Show More

Related Articles

Back to top button