প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে পাথারকান্দিতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন শারদোত্সব

পাথারকান্দি : প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে পাথারকান্দি বিধানসভা নির্বাচনী এলাকায় নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল শারদোত্সব। মঙ্গলবার স্থানীয় লঙ্গাই নদীর বিভিন্ন ঘাটে সারিবদ্ধভাবে প্রায় দু-শতাধিক প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। এতে প্রশাসনের ভূমিকা ছিল আশাব্যঞ্জক।
প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষ্যে স্থানে স্থানে মেলাও বসে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পুজোর চারদিন মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের ভিড় ছিল বেজায়। তবে মহানবমী ও মহাদশমীতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পাথারকান্দি সার্কলের অধীন পাথারকান্দি ও বাজারিছড়া থানা এলাকায় ছোটবড় মিলিয়ে প্রায় দু-শতাধিক পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নজর কেড়েছে পাথারকান্দি শহরে টাউন কালীবাড়ি ও শিববাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপুজো। তাছাড়া অন্যতম পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে উত্তর রেলওয়ে গেট সংলগ্ন অমরজ্যোতি ক্লাব, মধ্য পাথারকান্দি সর্বজনীন দুর্গাপুজো, উত্তর পাথারকান্দি মহিলা সর্বজনীন দুর্গাপুজো, মধ্যবাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো, প্রতাপগড় সর্বজনীন দুর্গাপুজো, থানারোড পঞ্চশিখা ক্লাব নবারুণ, দক্ষিণ পাথারকান্দির সর্বজনীন দুর্গাপুজো সহ বাজারিছড়া ও লোয়াইরপোয়ার বেশ কয়েকটি পুজো।
বর্তমান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির আবহে আর্থিক সংকটের মধ্যেও প্রায় প্রতিটি মণ্ডপকে যথাসাধ্য সাজিয়ে তুলেছিলেন আয়োজকরা। শহর ও গ্রামাঞ্চলের পুজোগুলোতে ছিল সাত্ত্বিকতার ছোঁয়া। বিভিন্ন মণ্ডপে হয়েছে মহাপ্রসাদ বিতরণও।
মহাদশমীতে জনস্রোত ঠেকাতে হিমশিম খেতে হয়েছে নিরাপত্তা কর্মীদের। এদিন সিঁদুর খেলায়ও মেতে উঠেছিলেন বিভিন্ন বয়সের মহিলারা। ভিড় সামলাতে অসম-ত্রিপুরার ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের উত্তর থেকে দক্ষিণ রেলগেট পর্যন্ত নো-এন্ট্রি বলবত্ করা হয়। দশমীর সন্ধ্যায় পাথারকান্দি মধ্যবাজার সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটির প্রতিমা ছাড়া পাথারকান্দি ও তাঁর আশপাশের প্রায় কুড়িটি দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বিশাল এক শোভাযাত্রা সহকারে পা মেলান মায়ের অজস্র ভক্ত। এতে বিদায়ের করুণ সুর বেজে ওঠে ভক্তদের মধ্যে। ভাসান পর্বে পাথারকান্দির লঙ্গাই নদীর বিসর্জনঘাটে শিববাড়ি সর্বজনীন দুর্গাপুজো কমিটি দশানন রাবণের কুশপুত্তলিকা জ্বালিয়ে অশুভ শক্তির বিনাসের বার্তা ছড়িয়ে দেয়।
অধিক রাত পর্যন্ত চলে বিভিন্ন বিসর্জনঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন পর্ব। এতে প্রশাসনের পক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণের আলো, নিরাপত্তা কর্মী, ইঞ্জিনচালিত নৌকা সহ এসডিআরএফ বাহিনী, দমকল কর্মী, জরুরিকালীন পরিষেবার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও ছিল।