Others

বাংলাদেশের ফরিদপুরের তাম্বুলখানা বাজার মন্দিরে দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর

ফরিদপুর, ১৯ সেপ্টেম্বর : ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা বাজার সার্বজনীন কালী ও দুর্গা মন্দিরের নির্মীয়মাণ দুর্গা প্রতিমা সোমবার রাতে ভাংচুর করেছে দুষ্কৃতিকারীরা। মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দায়ীদের গ্রেফতার দাবি করেছেন তাঁরা।

সংগঠনের সভাপতিত্রয় ঊষাতন তালুকদার, অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক ও নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রতি বছর শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিকালে সারা দেশ জুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিমা ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেই চলেছে। কিন্তু এ সমস্ত ঘটনার কোনও বিচার এ যাবত্‍কালে না হওয়ার ফলে এ ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফরিদপুরের ওই একই মন্দিরে ২০২১ সালেও অনুরূপ ঘটনা ঘটে। ওই সময়ও দুর্গাপূজার প্রস্তুতিকালে ওই মন্দিরে নির্মীয়মাণ দুর্গা প্রতিমা ভাংচুর করা হয়। সে সময় দিদার নামে এক দুষ্কৃতিকারীকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু ওই দিদারকে মানসিক প্রতিবন্ধী হিসেবে দাবি করে ১৫ দিনের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সে সময় যদি ঐ দুষ্কৃতিকারীর যথাযথ শাস্তির সম্মুখীন করা হতো তাহলে আজকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রতিমা ভাংচুরের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন করার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা জানান।

মঙ্গলবার দুপুরে তাম্বুলখানা বাজার সার্বজনীন কালী ও দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের স্থান পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ফরিদপুর জেলা নেতৃবৃন্দ। সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক ভবতোষ বসু রায়, ফরিদপুর পৌর শাখার সভাপতি সুমন দে বাবু ও সাধারণ সম্পাদক অপু সাহার নেতৃত্বে সংগঠনের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্দির কমিটির সভাপতি প্রফুল্ল সরকার ও সাধারণ সম্পাদক ভবেশ চন্দ্র দাস। নেতৃবৃন্দ সেখানে পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের সাথে কথা বলেন ।

Show More

Related Articles

Back to top button