Barak ValleyAssamNorth-East

শিলচর শ্মশান ঘাটের কালভৈরব মন্দিরে ইলেক্ট্রনিক লাইট লাগিয়ে দেয় টুয়েল্ভ স্টেপ ফাউন্ডেশন

শিলচর শ্মশান ঘাটের ভিতরে পঞ্চবটীতে থাকা কালভৈরব মন্দিরটি রাত্রিবেলা আলোকিত থাকার উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগতভাবে ইলেক্টনিক লাইট লাগিয়ে দেন টুয়েল্ভ স্টেপ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক দীপ ভট্টাচার্য্য। সেদিন সমাজসেবী তথা শিলচর শশ্মান ঘাট পরিচালনার কমিটির সহ- সভাপতি স্বর্ণালী চৌধুরী বলেন যে মহাদেব শিবের যতরকম রুদ্র অবতার আছে তন্মধ্যে অন্যতম একটি অবতার হলো কালভৈরব। কাল শব্দের অর্থ ‘মৃত্যু’ আর ভৈরব শব্দের অর্থ ‘ছন্দ’ অর্থাৎ কালভৈরব শব্দের অর্থ মৃত্যুরদেবতা বা কালবিনাশক।শিলচর শশ্মান ঘাটের মা কালী মন্দির ও শিব মন্দির সহ সম্পূর্ণ শশ্মান চত্বরের যেভাবে সার্বিক উন্নতির ঘটছে তা খুবই প্রশংসনীয়, যেভাবে সরকার সাহায্য করছে,সেই ভাবে এই অঞ্চলের ধর্মপ্রান ভক্তবৃন্দরা বিভিন্ন ভাবে সাহায্য -সহায়তা করে চলেছেন উন্নতিকল্পে।

আজ শিলচর মাছিমপুর রোড স্থিত বেসরকারি সামাজিক সংস্থার টুয়েল্ভ স্টেপ ফাউন্ডেশনের সম্পাদক দীপ ভট্টাচার্য্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিলচর শশ্মাণ ঘাটের পঞ্চবটীতে থাকা অতি পুরোনো কালভৈরবের মন্দির চত্বরে ইলেকট্রনিক লাইট লাগিয়ে আলোকিত রাখার প্রয়াস করেছেন। ঠিক একইভাবে আমরা সবাই নিঃস্বার্থ ধর্মীয় মনোভাব নিয়ে কিছু না কিছু সাহার্য্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে মন্দিরটিকে সর্বাঙ্গ সুন্দরের জন্য এগিয়ে আসতে পারি তাহলে এই মন্দির অল্প দিনের মধ্যেই মহা পবিত্র ধর্মস্থানের সাথে একটি পর্যটন স্থলেও পরিনত হয়ে যাবে।দীপ ভট্টাচার্য্য বলেন,ধর্মীয় বিশ্বাস যে ভগবান কাল ভৈরবের পূজা করে ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কথিত আছে যে যারা ভালো কাজ করে তাদের প্রতি কাল ভৈরব সদয়, কিন্তু যে অনৈতিক কাজ করে সে তার ক্রোধ থেকে বাঁচতে পারে না।

এছাড়াও কথিত আছে যে ভগবান ভৈরবের ভক্তদের যে ক্ষতি করে সে তিন জগতে কোথাও আশ্রয় পায় না। তিনি আরো বলেন,এই উক্ত কাল ভৈরব মন্দিরে আরো কিছু লাইট লাগানো প্রয়োজন রয়েছে,সেটিও লাগিয়ে দিবেন এবং এই অঞ্চলের যারা গরিব মানুষেরা তাদের আত্মীয় পরিজনদের শবদেহের শেষকাজ করাতে আর্থিক দিক দিয়ে অক্ষম, তাদের মতো প্রতিমাসে এক-দুইজনের জন্য সম্পূর্ণ খরচা বহন করবে টুয়েভ স্টেপ ফাউন্ডেশন, কেবল মাত্র শিলচর শশ্মান ঘাট পরিচালনা কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। শিলচর শ্মশান ঘাট পরিচালনা কমিটির সম্পাদক রাজশ্রী দেব বলেন যে দীপ ভট্টাচার্য্যের এই প্রয়াসকে সাধু জানান এবং অন্যান্যদেরকেও এইভাবে এগিয়ে এসে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ জানান। এছাড়া সুদর্শন চৌধুরী(নন্দন) বলেন যে শিলচর শশ্মান ঘাট এই অঞ্চলের বসবাসকারী সনাতনী ধর্মীয় মানুষদের সবার জন্য এক পবিত্র ধর্মস্থান, এখানে মানুষের মুক্তি ও আত্মার চিরশান্তির স্থান।তাই শিলচর শশ্মান ঘাটের পরিবেশকে পরিষ্কার রাখার কর্তব্য সবার রয়েছে। ওইদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছে শুভদ্বীপ দত্ত, জিৎ সাহা, মান্না দাস, টিংকু রায়, দুলু পাল সহ অন্যান্যরা।

Show More

Related Articles

Back to top button