করিমগঞ্জের বারইগ্রাম রাধারমণ আশ্রমের দুর্গা পুজোয় ভক্তের ঢল, রবিবার বিজয়া সম্মেলন

বারইগ্রাম : করিমগঞ্জ জেলার অন্তর্গত বারইগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রী গোপাল জিউ, শ্রীশ্রী রাধাবিনোদ জিউ ও শ্রীশ্রী রাধারমণ গোস্বামী জিউর আশ্রমে এবারও সাত্ত্বিকতার সঙ্গে দশভুজা দুর্গার পূজার্চ্চনা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রবিবার বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করেছে পূজা ও আশ্রম পরিচালন কমিটি।
বারইগ্রাম আশ্রমে ৭০ বছর ধরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পুজোয় স্থানীয় ভক্তদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী মেঘালয়, ত্রিপুরার ধর্মপ্রাণ জনগণও অংশগ্রহন করেন। পুজোর শুরুতে আশ্রমের কেন্দ্রীয় পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে এলাকার দুস্থদের মধ্যে নতুন কাপড় বণ্টন করা হয়। মহাসপ্তমী থেকে মহানবমী পর্যন্ত পুজোয় ছিল সম্পূর্ণ সনাতনী আয়োজন। এই পুজোয় বাঙালির সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। মহাসপ্তমীর সকালে অঙ্কন ও আলপনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় ছিল শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি প্রতিযোগিতা, পাশাপাশি চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মহানবমীর দিন ছিল বিশ্বশান্তি কামনায় বিশেষ যজ্ঞানুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় ছিল আরতি প্রতিযোগিতা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশ্রমের প্রধান সেবাইত প্রণবানন্দ দাস বাবাজি। বিচারক মণ্ডলিতে ছিলেন গৌড়গোবিন্দ দাস বাবাজি, অনিরুদ্ধ ঘোষ, সঞ্জীব দাস, মিনাক্ষী দাস, প্রবাল দাস, রজত দে, অরূপ রায়, রঞ্জিত দাস, রাজদীপ দাস, সুনয়ন দাস প্রমুখ।
বিজয়া দশমীতে মায়ের ভাসানের পর বৃহত্তর বারইগ্রাম এলাকার প্রায় প্রতিটি গ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষ অপরাজিতা আশীর্বাদ নিতে আশ্রম প্রাঙ্গণে সমেবত হন। অপরাজিতা আশীর্বাদ পর্ব শেষ হওয়ার পর এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক আশ্রমের পূজার অভিজ্ঞতা উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন। তাঁরা জানান, লক্ষ্মীপূজার পরের দিন রবিবার আশ্রমে অনুষ্ঠিত হবে বিজয়া সম্মেলন। এতে গুচ্ছ কার্যসূচিতে থাকবে বিশেষ নৃত্য, নৃত্যনাটিকা, একাঙ্ক নাটক এবং পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান। প্রস্তাবিত মহতী অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতি কামনা করেছেন আশ্রম পরিচালন কমিটির কর্মকর্তারা।