সংবিধান থেকে উধাও ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’, কেন্দ্রের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস
সংবাদ সংস্থা, নতুন দিল্লি : সংবিধানের শব্দ বদলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী জানান, সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ‘সেকুলার’ ও ‘সোশালিস্ট’ শব্দ দুটি মুছে ফেলা হয়েছে। সেই সংবিধানের কপিই তুলে দেওয়া হয়েছে সাংসদদের হাতে। প্রসঙ্গত, নতুন সংসদ ভবনে প্রথমবার অধিবেশন শুরুর আগে সাংসদদের বিশেষ উপহার দেওয়া হয়। সেখানেই ছিল এই সংবিধানের কপি। তবে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, প্রথম সংবিধানেও এই শব্দ দুটি ছিল না। তার কপিই দেওয়া হয়েছে সাংসদদের।
বুধবার সকালে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও অধীর চৌধুরী। বুধবার অধিবেশন শুরুর আগে তিনি বলেন, “আমি যখন সংবিধান পড়ছিলাম তখন এই দুটো শব্দ খুঁজে পাইনি। পরে নিজে থেকেই জুড়ে দিয়েছি এই দুটি শব্দ। ১৯৭৬ সালে তো সংশোধন করে শব্দগুলো যোগ করা হয়েছিল। এই আচরণ থেকেই বোঝা যায়, বর্তমানে সংকটে পড়েছে সংবিধান। ইচ্ছাকৃতভাবে সংবিধান পালটে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়ে সংসদে সরব হতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু তাঁকে মুখ খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। বুধবার সংসদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে সোনিয়া গান্ধীও জানান, সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে এই দুটি শব্দ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অধীরের অভিযোগ, সুচতুরভাবে সংবিধান পালটে দেওয়ার জন্যই এইভাবে শব্দ সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি৷
অভিযোগের ঝড় ওঠার পরে সাফাই দিয়েছে কেন্দ্রও। আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বলেন, “প্রথমে সংবিধানের যে খসড়া তৈরি হয়েছিল, সেখানে এই দুটি শব্দ ছিল না। সেই সংবিধানের কপিই দেওয়া হয়েছে সাংসদদের হাতে।” বিজেপির অপর সাংসদ সুশীল মোদি বলেন, “আমরা তো একবারও বলিনি যে এটা সংবিধানের সংশোধিত কপি। প্রথম সংবিধানের কপিতে এই শব্দগুলো ছিল না। তাছাড়া বর্তমান সমাজে কি সোশালিস্ট শব্দটির কোনও গুরুত্ব রয়েছে? অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে।”