করিমগঞ্জে শুরু তিন দিবসীয় বৈশাখী মেলা

করিমগঞ্জ, ১০ এপ্রিল : অসম রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশনের করিমগঞ্জ জেলা মিশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় করিমগঞ্জ শহরে আজ ১০ এপ্রিল থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিবসীয় বৈশাখী মেলা শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার করিমগঞ্জ শহরে স্টিমারঘাট গুদাম প্রাঙ্গণে এই মেলার শুভ উদ্বোধন হয়েছে। করিমগঞ্জের জেলাশাসক মৃদুল যাদব ওই দিন বেলা ১২টায় ফিতা কেটে এই মেলার উদ্বোধন করেন। এই মেলায় করিমগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যদের উত্পাদিত খাদ্য সামগ্রী, বস্ত্র ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রদর্শনী ও বিক্রির জন্য ৩০টি স্টলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিন মেলা প্রাঙ্গণে জেলাশাসক মৃদুল যাদবের পৌরোহিত্যে এক উদ্বোধনী সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রদীপ প্রজ্বলন ও অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করে সভার সূচনা করা হয়। সভায় স্বাগত ভাষণ দেন অসম রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশনের করিমগঞ্জ জেলা মিশন ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের ডিপিএম রাইসিংজা ইংতিপি। তিনি বিভিন্ন আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যদের সহযোগে এই বৈশাখী মেলা আয়োজন করার জন্য সকলের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং সহযোগিতা কামনা করেন। পাশাপাশি অসম রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশনের অধীনে আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর কল্যাণে সরকারি বিভিন্ন সহায়তা ও সুবিধা সম্পর্কেও আলোচনা করেন তিনি।
সভাপতির ভাষণে জেলাশাসক বলেন, অসম রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশন কর্তৃক এ ধরনের মেলার আয়োজনের মাধ্যমে আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যদের উত্পাদিত সামগ্রী বিক্রি ও প্রচারের এক ব্যবস্থা হয়েছে। যার মাধ্যমে তাদের আর্থিক লাভ হবে এবং উত্সাহ বাড়বে। পাশাপাশি তিনি উল্লেখ করেন, রাজ্য সরকার আত্মসহায়ক গোষ্ঠীকে একটি জন-আন্দোলনে পরিণত করতে প্রয়াস চালাচ্ছে। যাতে তাদের মধ্যে স্বাবলম্বন ও আত্মনির্ভরতা গড়ে ওঠে।
এদিকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পেও তাদেরকে যুক্ত করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে প্রয়াস জারি রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই মেলায় যে কোনও ক্ষেত্রে যে সব আত্মসহায়ক গোষ্ঠী ভালো প্রদর্শন করবে তাদেরকে জেলা প্রশাসন থেকে শংসাপত্র ও পুরস্কার প্রদান করা হবে।
সভায় অসম রাজ্য পরিবহণ নিগমের অধ্যক্ষ মিশনরঞ্জন দাস তাঁর ভাষণে আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যদের কল্যাণে অসম রাজ্য গ্রামীণ জীবিকা মিশন কর্তৃক এ ধরনের মেলার আয়োজন করার জন্য সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, এর ফলে সদস্যদের জীবনে আর্থিক সচ্ছলতা আসবে এবং উত্সাহও বাড়বে। এতে তিনি বিভাগকে জেলার প্রতিটি ব্লক পর্যায়ে এ ধরনের মেলার আয়োজন করতে পরামর্শ দেন।
এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পরিষদের সিইও রুথ লিয়ানথাং, ডিআইসিসি-র জেনারেল ম্যানেজার সেলিম রাজা মণ্ডল, আকবরপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের প্রধান ও বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. পি চৌধুরী প্রমুখ মেলার আয়োজন সহ আত্মসহায়ক গোষ্ঠীর সদস্যদের সহযোগিতায় সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ঋণের ব্যবস্থা ও অন্যান্য সাহায্য সম্পর্কে আলোচনা করেন। এদিন মেলায় জেলাশাসক সহ অন্যরা প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখে উত্পাদিত সামগ্রী সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয়ও করেন।